পর্যটক বরণে প্রস্তুত পাহাড়

পর্যটক বরণে প্রস্তুত পাহাড়

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

বছর শেষ, আসবে পর্যটক। সঙ্গে আছে একের পর এক উৎসব। এরই মধ্যে পাহাড়ে বইছে হিম শীতের আমেজ। এর টানে দূর-দূরান্ত থেকে আসবে হাজারো পর্যটক।

তাই আগেভাগে প্রস্তুত করা হয়েছে পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। প্রস্তুতি শেষ।  

এবার পর্যটক বরণের অপেক্ষা বলছেন পর্যটক কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলতো ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের উৎসবের মধ্যে দিয়ে শুরু করা হয় পাহাড়ে পর্যটক বরণ।

বছর শেষে প্রকৃতির টানে বিভিন্ন ছুটিকে কাজে লাগাতে এখানে আসেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক। তাদের বরণের জন্য প্রস্তুতিটা একটু আগে থেকে নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে অতিথিদের জন্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি-বেসরকারি রেস্ট হাউসগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।

অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে প্রায় হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউস।

অন্যদিকে রাঙামাটিতেও রয়েছে পর্যটকদের মন ভোলানো আকর্ষণীয় বিভিন্ন স্পট। রয়েছে পাহাড়, অরণ্য, হ্রদ আর ঝর্ণা।
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা। যে কোনো রূপের জৌলুস থাকে এখানে সারা বছরই। পার্থক্য কেবল ঋতুর সাজে। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর রাঙামাটি। এখানে চলে পাহাড়, নদী আর হ্রদের মিলন মেলা।

এখানকার প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অদেখা ভুবন। আছে নয়নাভিরাম দৃশ্যপট। সবুজ পাহাড়ের আশপাশে পাহাড়ি ঝর্ণার কলতার আরও আকর্ষণীয় করেছে এ জেলাকে। প্রকৃতি প্রেমীদের বেশি কাছে টানে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলধারা। আকাঁ-বাঁকা পাহাড়ের ভাঁজে টুকরো মেঘের অবাদ ছুটে চলা। এক পাহাড়ের চূড়া থেকে অন্য পাহাড়ের চূড়াই মেঘের লুকোছুড়ি খেলা। আর সে পাহাড়ের বুক চিরে প্রবহমান জলধারা যেন সবুজ অরণ্যের প্রাণের স্পন্দন ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। হ্রদ-পাহাড়ের সখ্যতায় হৃদয় নিংড়ানো সৌন্দর্যে বিস্ময়কর প্রাকৃতিক প্রাচুর্য দেশের শুধুমাত্র রাঙামাটিতেই দৃশমান। প্রকৃতির এমন রূপ বৈচিত্র্য যেন হাতছানি দিচ্ছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের। এমন পাগল করা প্রকৃতির অদ্ভুত সৌন্দর্য্যরে আধারে মিলিয়ে যেতে কার নামন চাই। তাই তো যান্ত্রিক জীবনে একটু প্রশান্তি খুজে এখানে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক।

এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসনও জানালেন রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর এখানে আরও অনেক উৎসব রয়েছে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন, থার্টি ফাস্ট নাইট, ইংরেজি নববর্ষ। এসময়টা পাহাড়ে অনেক পর্যটক আসে। তাদের কথা মাথায় রেখে এখানে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছেন।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজান বিকাশ বড়ুয়া জানান, পর্যটক বরণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
হোটেল-মোটেলগুলোর সাজসজ্জার কাজও শেষ হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকদের বুকিংও চলছে। আশা করি এবার পাহাড়ের বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে পর্যটকের ঢল নামবে রাঙামাটিতে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)