প্রেমিকের সঙ্গে এক বিছানায় মা দেখে ফেলায় মরিয়ম বেগম (১২) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। ঐ কিশোরীর বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের মোল্লা পাড়া গ্রামে। স্থানীয় ভাটাপুকুরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো মরিয়ম।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরীর মা মর্জিনা বেগম জানান, পাশের বাড়ির আজিত আলীর ছেলে পলাশের সঙ্গে গেল তিন মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মরিয়মের।
সোমবার ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি পলাশ ও মরিয়ম বিছানায় শুয়ে আছে। এ নিয়ে মরিয়মকে সামান্য বকাঝকা করি। কিছুক্ষণ পর দেখি মরিয়ম ঘরের পাশে জাম্বুরা গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।
কী কারণে আত্মহত্যা করলো মরিয়ম এমন প্রশ্নের জবাবে মর্জিনা বেগম জানায়, পলাশের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর
হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জামাল হোসেন জানান, সোমবার সকাল সাতটার সময় ঐ কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর একটি অপমৃত্যু মামলা সদর থানায় রেকর্ড হয়।
পরে কিশোরীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আজিত আলীর ছেলে পলাশকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পরপরই পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ পলাশকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল