বিয়ে করলে ধর্ষণের সাজা মাফ!
তুরস্কে হচ্ছে আইন!

বিয়ে করলে ধর্ষণের সাজা মাফ!

অনলাইন ডেস্ক

অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণের পর যদি ধর্ষক তাকে বিয়ে করে নেয় তাহলে আইন অনুযায়ী তার যে সাজা হওয়ার কথা তা মওকুফ করা হবে! এমনই বিতর্কিত একটি আইন উত্থাপন হতে যাচ্ছে তুরস্কের সংসদে! বর্তমানে তুরস্কে ৪ হাজার ধর্ষক জেলে রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই আইন পাস হলে তারা হয়তো ধর্ষিতাকে বিয়ের সুযোগ নিয়ে ছাড়া পেয়ে যেতে পারে।

তুরস্ক সরকার বলছে, যারা না বুঝেই অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধর্ষণ করেছে তাদেরকে বিয়ের সুযোগ দেয়া হবে। তবে নারী অধিকারকর্মীরা বলছেন, যেসব পুরুষ জেনেশুনেই ধর্ষণ করেছে তাদেরকেও এই আইনের আওতায় ক্ষমা করা হবে।

এরমধ্য দিয়ে দেশে ধর্ষণ আইনি বৈধতা পেয়ে যেতে পারে বলে অভিমত তাদের।

চলতি মাসের শেষে তুরস্কের আইনপ্রণেতারা এই আইনটি সংসদে উত্থাপন করবেন।

তুরস্কের বামপন্থী বিরোধী দল দ্য পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এইচডিপি) প্রস্তাবিত ওই আইনের তীব্র সমালোচনা করে সরকারকে সতর্ক করে বলেছে, এই আইন বাল্যবিবাহ ও বিধিবদ্ধ ধর্ষণকে বৈধতা দেয়ার সঙ্গে শিশুদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করার পথ প্রশস্ত করে দেবে।

তুরস্কের মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সংগঠনগুলো প্রস্তাবিত আইনটির তীব্র সমালোচনা করে বলছে, এই আইনের মানে দাঁড়াবে ধর্ষণকে আইনি বৈধতা দেয়া।

তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল এ কে পার্টির আইনপ্রণেতারা প্রস্তাবিত এই আইনটিতে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সমর্থন জানিয়ে আসছেন।

তুর্কি মানবাধিকারকর্মী সুয়াদ আবু দায়েহ, যিনি ইকুয়ালিটি নাউ নামের ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন, ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যমূলক এই আইন দেশের নারীদের সুরক্ষার জন্য বিশাল এক আঘাত। যারা এই আইনটির বিরোধিতা এবং এর প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন-বিক্ষোভ করছেন আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। ’

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল