করোনা ভাইরাসে তোয়াক্কা করছেন না ঢাকামুখি ও ঘরমুখি মানুষ। গত কয়েক দিন যাবৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে উভয় ফেরি ঘাটে জনস্রোত।
এখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা দেখে মনে হচ্ছে পল্টনের জনসভা। তবে রাস্তায় কোন গণপরিবহন নেই।
শুধু ছোট ছোট স্থানীয় গাড়িতে নানা প্রকার দুর্ভোগ শিকার করে গৌন্তত্ব স্থানে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীগুলো ফেরিতে নদী পারাপার হচ্ছে। এই নৌরুটে বর্তমান ২টি রোরো (বড়) এবং ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) সহ মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
এই সুযোগে যাত্রীগুলো সহজে ফেরিতে নদী পারাপার হচ্ছে।
কোলে শিশু বাচ্চা নিয়ে ঢাকামুখি আম্বীয়া বেগম বলেন, কর্ম ঠিক রাখার জন্য ঢাকার মুখে। কাজ করে যাদের সংসার চলে, বসে তাদের কত দিন চলবে।
এ সময় পাশে থাকা আবু তাহের নামের এক ব্যক্তি বলেন, লকডাউন শুধু গণপরিবহনের জন্য। গণপরিবহন ছাড়া সব কিছু আগের মত চলছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় গাদাগাদি করে বেশি অর্থ ব্যয় করে মানুষ কর্মস্থানে যাচ্ছি।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মুন্নাফ বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা অবাদে নদী পারাপার হচ্ছে। ফেরি বন্ধ থাকলে এই নৌরুটে এত যাত্রী চলাচল করতে পারতো না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স নদী পারাপার করার কারণে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এই নৌরুটে বর্তমান ২টি রোরো (বড়) এবং ৪টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি সহ ৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে রাতে পণ্যবাহী ট্রাক বেশি থাকলে ফেরি’র সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ফেরি চলাচল করলে যাত্রী পারাপার করবে। কারণ যাত্রী নিয়ন্ত্রন করে ঘাট ইজারাদার।