নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঁদমারী এলাকায় আদালতপাড়া সংলগ্ন এক আইনজীবীর চেম্বারে মুহুরির বন্ধুর সহযোগিতায় ফেসবুকে পরিচয় প্রেমিকাকে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দিদার নামে যুবকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে আইনজীবীর সহযোগী (মুহুরি) মুন্না ও ধর্ষক দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আইনজীবীর সহযোগীর (মুহুরি) সহায়তায় তার প্রেমিক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার দিদার চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চর ভৈরবী গ্রামের কালু সৈয়ালের ছেলে ও মুহুরি মুন্না ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকার মৃত শরীফ সরদারের ছেলে। এদের মধ্যে দিদারের সঙ্গে ফতুল্লার তল্লা এলাকার এক তরুণীর ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
১৫ আগস্ট শনিবার দুপুরে মোবাইল করে ওই তরুণীকে ফতুল্লার চাঁদমারী এলাকায় অবস্থিত জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পেছনে এস এম করিমের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহর চেম্বারে ডেকে আনেন দিদার। এরপর মুহুরি মুন্নার সহযোগিতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আইনজীবীর চেম্বারে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আইনজীবী কেফায়েত উল্লাহ বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
