আগামীতে সব নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বরাবরই সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। শুধু করোনার কারণে আমরা গত দুইটি উপ-নির্বাচনে (যশোর ও বগুড়া) যোগ দিয়েও পরবর্তীতে প্রচারণায় যাইনি, সরে দাঁড়িয়েছি।
ফখরুল আরও বলেন, আমরা ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৬ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। সে হিসেবে আগামী ১০ তারিখে নমিনেশন ফরম বিক্রি করা হবে। ১২ তারিখে পার্লামেন্টারি বোর্ড সাক্ষাতকারের জন্য বসবে প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য।
আরও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনার পর সরকারের নানা সংস্থার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর: ফখরুল
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কি শুধু বিদ্যুতের জন্য, গ্যাসের জন্য, এসির জন্য, নাকি আপনার ইচ্ছাকৃত কোনো সাবোটাজ এখানে করা হয়েছে বা নাশকতামূলক কাজ হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে কিন্তু জাতি জানতে পারছে না। আমরা মনে করি, এই ব্যাপারে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি করা দরকার। এটার সঠিকভাবে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা দরকার এবং তাদের শাস্তির বিধান করার দরকার। ’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় বেশ কিছু বক্তব্য শোনা যাচ্ছে, যে বক্তব্যগুলো বিভ্রান্তিকর। বেআইনিভাবে সরকারি জায়গা ও গ্যাসলাইনের ওপর মসজিদ করা হয়েছে, এটা তো এই মুহূর্তে বিবেচ্য বিষয় নয়। এই মুহূর্তের বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, বিস্ফোরণ ঘটল কীভাবে? এই বিস্ফোরণের কারণটা কি?
আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা হচ্ছে : রুমিন ফারহানা
একইসময় ইউএনওর ওপর হামলার প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, ‘দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। র্যাব একটা প্রেস কনফারেন্স করে বলে দিল যে চুরির জন্য এই আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এটা একেবারেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক প্রতিচ্ছবি। এর দুটি দিক, একটা হচ্ছে ল লেসনেস। বাড়িতে ঢুকে যে কাউকে মেরে দেওয়া যায়, কাউকে আঘাত করা যায়। আরেকটা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোকে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই চট করে একটা সংবাদ সম্মেলন করে বলে দেয় যে চুরির জন্য ঘটনা ঘটছে। গোটা বিষয়টা ডাইভার্ট হয়ে গেল। ’
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ
