হযরত আলী (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক জিনিসের একটি সৌন্দর্য রয়েছে। আর কোরআনের সৌন্দর্য হলো সূরা,আর-রাহমান।
(বাইহাকী- শুআবুল ঈমান)
সূরা আর-রাহমানকে কোরআনের সৌন্দর্য এ জন্য বলা হয়েছে যে, এই সূরার মধ্যে পার্থিব জীবন এবং পরকাল জীবনের নেয়ামতের বর্ণনা রয়েছে, বেহেশতী হুর এবং তাদের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সূরা নিয়মিত পাঠ করলে পাঠকারীর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
তাঁর জন্য দোযখের দরজা সমূহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং বেহেশতের দরজা সমূহ খুলে যাবে।এ সূরা নিয়মিত পাঠ করলে কিয়ামতের দিন পাঠকের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে এবং দুনিয়াতে তাঁর রুজি বৃদ্ধি পাবে।
একাধারে ৪০ দিন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের সময় এ সূরা পাঠকালে “ফাবি আইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তু-কাজ্জিবান” পড়ার সময় আঙ্গুল দিয়ে সূর্যের দিকে ইশারা করলে মানুষ সহ য কোন প্রাণী পাঠকের অনুগত হবে।
“ফাবি আইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান” আয়াত টি ৩ বার পাঠ করে যে কোন বিচারকের দরবারে উপস্থিত হলে বিচারক পাঠকারীর প্রতি সদয় হবেন।
এ সূরা ১১ বার পাঠ করে আল্লাহর দরবারে কোন কিছুর জন্যে প্রার্থনা জানালে তা তিনি কবুল করবেন।
আরও পড়ুন: সূরা আল- ওয়াক্বিয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
তিরমিযীতে হযরত জাবের ( রাঃ ) বর্ণনা করেন , রাসূলুৱাহ ( সাঃ ) কয়েকজন লােকের সামনে সমগ্র সূরা আররাহমান তেলাওয়াত করেন । তারা শুনে নিশ্চুপ থাকলে রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বললেন, আমি ‘ লাইলাতুল জ্বিনে ’ জ্বিন — রজনীতে – জ্বিনদের সামনে এ সূরা তেলাওয়াত করেছিলাম। প্রভাবান্বিত হওয়ার দিক দিয়ে তারা তােমাদের চেয়ে উত্তম ছিল । কারণ , আমি যখনই "ফাবি আইয়ি আলা ইরাব্বিকুমা তুকায্যিবান" আয়াতটি তেলাওয়াত করতাম , তখনই তারা সমস্বরে বলে উঠত :
ربّنَا لا نكْذِبُ بِشى من نعمَتك فَلك الحمد,
অর্থ, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আপনার কোনো অবদানই অস্বীকার করবনা। আপনার জন্যই সমস্ত প্রশাংসা।
news24bd.tv আহমেদ