ডেমরায় বৈদ্যুতিক সঞ্জামের গুদামে আগুন, জ্বললো রাতভর

ডেমরায় বৈদ্যুতিক সঞ্জামের গুদামে আগুন, জ্বললো রাতভর

হাবিবুল ইসলাম হাবিব

রাতভর চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে রাজধানীর মাতুয়াইলে পাশা এনার্জি লাইটিং লিমিটেডের গোডাউনে লাগা ভয়াবহ আগুন। এই দীর্ঘ সময় দাও দাও করে জ্বলা এ আগুন নিয়ন্ত্রণে বিকেল ৬টা থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিরলস কাজ করে গেলেও সফলতা পেতে বেশ বেগ পেতে হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মহা-পরিচালক বলছেন, গোডাউনের ভেতরের রুমগুলোতে পানি না পৌঁছায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লেগে যায়। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে।

এতে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার বৈদ্যুতিক এনার্জি লাইট পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

সন্ধ্যার কিছুক্ষণে আগে লাগা আগুন মুহুর্তেই ছড়ি পড়ে ১০তলা ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ৬তলার একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

রাতভর তাণ্ডব চালানো আগুনে কোন প্রাণহানি না হলেও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে গোডাউনে থাকা অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ।

ফায়ারা সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট রাতভর চেষ্টা চালায় আগুন নেভাতে। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা যেন হার মানতে নারাজ। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রি.জে. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোডাউনে থাকা প্লাস্টিক সরঞ্জাম দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুনের তিব্রতা বেশী। আর ভবনের ভেতরের কক্ষগুলোতে পানি পৌঁছানো না যাওয়ায় আগুন নেভাতে বেশ সময় লেগে গেছে।


আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল কখন পাওয়া যাবে?


গোডাউনের মালিকপক্ষ বলছে অগ্নি নির্বাপনের যে সরঞ্জাম ছিলো তা নকল হওয়ার আগুন নেভাতে কোন কাজে আসেনি। আগুন লাগার পর সল্প সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতে পারতো বলে ধারণা তাদের।

ন্যাশনাল বিল্ডিংকোড অনুযায়ী বহুতল ভবনে, বেজমেন্ট , ডিজেল পাম্প, জকি পাম্প ইলেক্ট্রনিক্স পাম্প হোজ পাইপ, স্প্রিংলার, থাকা বাধ্যতামূলক হলেও এসবের কোনটিই এই ভবনে ছিল না বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। আর দুটি সিড়ি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে একটি।

news24bd.tv আহমেদ