‘এটা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন’

‘এটা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন’

এম আর ফারজানা

নিউ জার্সি থেকে নিউইয়র্ক যেতে যে ব্রীজ দিয়ে যাই তাতে আমার আসা- যাওয়ায় টোল দিতে হয় ১৫ ডলার। যাতবার যাই ততবার দিতে হয়।

না এখানে কেউ টোল নেবার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে না। ইজি-পাস আছে অর্থাৎ অটোমেটিক কেটে যায়।

কার্ড গাড়ির সামনের লাগানো থাকে তা থেকেই কেটে যায়। ডলার শেষ হয়ে গেলে একাউন্ট থেকে আবার জমা করে নেই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে ,প্রথম যখন আমি আমেরিকা আসি নিউইয়র্কে যাই, তো আমার হ্যাজব্যান্ড এভাবেই টোল দিচ্ছিল কেউ নাই দেখে আমি বললাম, কেউ যখন নাই মানুষ তো টোল না দিয়ে চলে যেতে পারে। আমার হাজব্যান্ড হাসতে হাসতে বলেছিল এখানে হিডেন কতগুলো ক্যামেরা আছে জানো ?? কেউ না দিয়ে ৫ মিনিট দূরে ও যেতে পারবে না পুলিশ এসে ধরে ফেলবে।

 

এরপর দেখলাম পুলিশ লুকিয়ে থাকে কেউ একটু ভুল করলেই ধরে ফেলে। যাই হোক, গতকাল থেকে পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। কেন এত টাকা  খরচ হলো, কেন এত টোল দিতে হবে এইসব। পদ্মাসেতু একটা বৃহত্তর প্রজেক্ট অর্থাৎ বিশ্বের অনেকগুলো সেতুর মধ্যে এখন পদ্মা সেতুকে ও ধরা হবে।

এত বড় একটা কাজে টাকাতো খরচ হবেই। এমন তো না সেতু আজ আছে দুইদিন পর থাকবে না। যতটুকু টেকসই করা যায়,৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আঘাত করলে ও যেন টিকে থাকে। সেইসাথে আছে রেল প্রজেক্ট। দুটো মিলিয়ে যাই খরচ হোক না কেন আমি মনে করি দেশের জন্য একটা ভালো কাজ হয়েছে। সেটা লোন করে হোক বা নিজের টাকায়। অবশ্য লোনের টাকাও কিন্তু নিজের টাকাই। কারণ লোন মানে ধার করা। তো সেই ধারের টাকা তো ফেরত দিতেই হবে। তো এটাতো নিজের টাকা।

আমি টাকার চেয়ে ভাবছি সেই অঞ্চলের মানুষ গুলোর কথা, তাদের জীবন যাত্রার কথা। একজন অসুস্থ, মুমূর্ষু রোগী নিয়ে পদ্মা পার হতে গিয়ে কত ভোগান্তি, সময় ব্যয়। অনেকে তো এইজন্য তাদের আপজন হারিয়েছেও। তাই পদ্মা সেতুর ফলে এখন খুব দ্রুত যেতে পারবে। সময়, ভোগান্তি এগুলো থেকে বাঁচবে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি যতদূর জানি পদ্মাসেতুর টোল এখনো ঠিক হয়নি সরকারিভাবে। যেটা ফেসবুকে ঘুরছে অনেকের ওয়ালে সেটা ভুল তথ্য। অনেক বাধা পেড়িয়ে আজকে পদ্মা সেতু। এটা দেশের সম্পদ, এটা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। (ফেসবুক থেকে)

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর