অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিশোরী আতিকা এখন কিশোর আতিকুল!

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিশোরী আতিকা এখন কিশোর আতিকুল!

অনলাইন ডেস্ক

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর গ্রামের আতাউর রহমান ও তার স্ত্রীর ১৩ বছর আগে কোলজুড়ে এক কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মা আদর করে তার নাম রেখেছিল আতিকা আক্তার লোপা। লোপার ছোটবেলা থেকেই শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পেয়ে সে একজন কিশোরী হিসেবেই বড় হতে থাকে।

বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে মেয়ে হিসেবে দেখে এসেছে।

কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই আতিকা আক্তার লোপা কিশোরী থেকে পরিবর্তন হয়ে সে এখন একজন কিশোর হিসেবে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মেয়েটি ছেলে হওয়ার পর এখন তার নাম আতিকুল ইসলাম রাখা হয়েছে।

জানা যায়, আতিকুলের বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে।

জীবিকার তাগিদে লোপার মা লোপাকে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন এবং সেখানকার একটি স্কুলেও লোপা ভর্তি হয়। সেখানে ৪র্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় লোপার কণ্ঠ ধীরে ধীরে ছেলেদের মতো রূপ নেয়। এ ঘটনা তার মা জানার পর থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। অসহায় নারী ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় লোপাকে নিয়ে এক বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নেন।


একই পরিবারের ৫ জনের জানাজা একসঙ্গে

ডিএসপি মেয়েকে ইন্সপেক্টর বাবার স্যালুট; আবেগে ভাসছেন সোশ্যাল মিডিয়া

রাজধানীর যেসব এলাকায় কাল গ্যাস থাকবে না !


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. বিবাশ বরন বিশ্বাস জানান, আমরা লোপার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কয়েক সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করি। প্রথম ধাপের অপারেশন করার পর সে অনেকটা সুস্থ হয়।  

তিনি আরও জানান, তবে বাকী দুইটি অপারেশন সঠিক সময়ে করতে হবে। তাহলেই সে ছেলে হিসেবে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে। অপারেশন সঠিক সময়ে করতে না পারলে তৃতীয় লিঙ্গে পরিণত হতে পারে।

আতিকুলের মামা মো. হারুন জানায়, অসহায় পরিবার থেকে অনেক কষ্ট করে টাকা পয়সা সংগ্রহ করে ঢাকার উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতালে প্রথম অপারেশন করানো হয়েছে। তবে বাকী দুইটি অপারেশন সঠিক সময়ে করার জন্য অনেক টাকা দরকার। ঐ পরিবারের পক্ষে এতো টাকা জোগানো সম্ভব নয়।

আতিকুলের দাদী আহেলা বেগম জানান, ছোট বেলা থেকেই মেয়ে হিসেবে বড় করেছি। আল্লাহর রহমত করেছে। এখন মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে। তাই প্রথম ধাপের অপারেশন করার পর সে অনেকটা সুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছে। আসার পরেই সে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে হাজারও জনতার ভিড় জমে।

আতিকুল বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য কান্না করতাম। কিন্তু কেউ আমাকে নামাজ পড়তে নিয়ে যেতো না। আমি সব সময় একা একা ঘরে বসে আল্লাহর কাছে বলতাম আল্লাহর তুমি আমাকে ছেলে বানায়া দাও আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাব। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ আমি মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছি। আল্লাহ আমার মনের কথা শুনেছে। আজ আমার মনে আসা পূরণ হয়েছে।

news24bd.tv / কামরুল