আমেরিকার ক‍্যাপিটল হিলে হামলা

আমেরিকার ক‍্যাপিটল হিলে হামলা

Other

আমেরিকার ক‍্যাপিটল হিলে (জাতীয়সংসদ তুল‍্য) হামলা হয়েছে। ট্রাম্প সাপোর্টাররা ক‍্যাপিটল হিলের ভিতর ঢুকে পড়ে। বাহিরে অবস্থান নেয়। ভাংচুর করে।

—সারা দুনিয়ায় সম্ভবত এখন এর চেয়ে আলোচিত খবর আর নেই।

এই রকম অস্থিরতার সময় এসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা (Institutional power) ফুটে উঠে। এদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট চাইলেই সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করতে পারে না। প্রেসিডেন্ট চাইলেই তার স্বার্থে দেশের পুলিশ বাহিনী, সেনা বাহিনী, সুপ্রিম কোর্ট ব‍্যবহার করতে পারবে না।

রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রকে যাচ্ছেতাই ব‍্যবহার করতে পারবে না।


যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডবের তীব্র প্রতিক্রয়া বিশ্বনেতাদের

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডব, গোলাগুলি


 রাতারাতি সংবিধান পরিবর্তন করে সংবিধানের দোহাই দিতে পারবে না। দেশের বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষকরা জোট বেঁধে প্রেসিডেন্টকে সর্মথন জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ‍্যানেল বন্ধ করতে পারবে না। কংগ্রেস ও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্টের কথায় নির্বাচন বাতিল করবে না।

এসব দেশে শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেই গণতন্ত্রের চর্চাটা হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক চর্চার ভিতটাও শক্ত। ফলে একটা অংশ দুর্বল হলে অন‍্য অংশ সেটাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করে। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিন্ডেন্ট যে চাইলেই তার স্বার্থে সকল ক্ষমতা ব‍্যবহার করতে পারে না—এটাই হলো প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংবিধানিক স্বাধীনতা। এখানেই প্রতিষ্ঠানের স্ট্রেংথ! কারণ প্রেসিডেন্ট হলো চার বছর বা আট বছরের জন‍্য। কিন্তু সংবিধান বা প্রতিষ্ঠান হলো বহু যুগের জন‍্য।

প্রাতিষ্ঠানিক স্ট্রেংথ যেসব দেশে থাকে না, সেখানে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র বা মুগুরতন্ত্র থাকে। সেসব দেশের সংবিধান মানুষের কাছে ছেঁড়া কাগজের মূল‍্যও পায় না।
……

news24bd.tv / কামরুল