আমেরিকার সামান্য গুণকীর্তন করে ঘুমাই।
আমেরিকার কিছু কিছু জিনিস দেখে আমি ঠাস করে প্রেমে পড়ে যাই।
এর মধ্যে নিউইয়র্ক এর সাবওয়ের ঘটনা তো আগেই বলেছি। আজকে আরেকটা বলি।
প্যানডেমিক উপলক্ষে নিউ ইয়র্ক স্কুল ডিপার্টমেন্ট থেকে ফ্রি খাবার সামগ্রী দেয়া হয় মূলত ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের পরিবারকে। নির্দিষ্ট সময় গিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহ করা যাবে এই হচ্ছে নিয়ম।
দিহানের মেয়ে পটানোর প্রধান হাতিয়ার গাড়ি
আনুশকার মা কে দিহান : আন্টি আমাকে বাঁচান
সিমান্তে উত্তেজনা : জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র কিনছে ভারত
এই কাহিনীতে প্রেমে পড়ার কিছু নাই। ধনী দেশ এইটুকু তো করতেই পারে।
এই খাদ্য বিতরন মূলত স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হলেও সেখানে উল্লেখ করা আছে,
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন মানুষ এই খাবার সংগ্রহ করতে পারবে। এই খাবার নিতে হলে কোন স্টুডেন্ট আইডি লাগবে না,সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার লাগবে না। আপনার ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস কি সেটাও কেউ জানতে চাইবে না।
এমনকি এই খাবার সংগ্রহের নিয়মে এটাও উল্লেখ আছে, যে কেউ নিজের ইচ্ছামত যত খুশী খাবার নিতে পারবে।
এই নিয়ম পড়ে আমার চোখে পানি চলে আসলো,মন থেকে দোয়া এল এই ইহুদি নাসারা খেরেস্তান জাতির জন্য যারা মানুষকে অন্তত মানুষ মনে করে।
আজকে আবার সামান্য প্রেমে পড়েছি। কেন সেটা বলি।
এরা সারম্বরে ভ্যাক্সিন দেয়া শুরু করেছে কোভিড এর এই কথা তো সবাই জানে।
যে তথ্যটা সবাই জানেনা তা হল, এরা লিগ্যাল, ইলিগ্যাল, হোমলেস, ট্যুরিষ্ট, পাগল, ছাগল সবাইকেই বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দিবে।
ভ্যাক্সিন নিতে কোন মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স লাগবে না।
ট্যুরিস্ট এবং পাগল ক্যাটাগরিতে আমিও ইচ্ছা করলেই হেঁটে গিয়ে ভ্যাক্সিন দিয়ে আসতে পারি।
কিন্তু বেশী ফ্রি পাওয়ায় উতসাহ পাচ্ছিনা তেমন,এইজন্য আলসেমি করে যাওয়া হচ্ছেনা।
মটকা মেরে বসে আছি। আমার ধারনা কয়েকদিন গেলে হেঁটে যাওয়ারও প্রয়োজন হবে না।
এরা বাসায় এসে ভ্যাক্সিন দিয়ে যাবে......।
news24bd.tv / আলী