জীবজগতে মানুষসহ প্রতিটি প্রাণীরই শরীরের প্রধান উপাদান পানি৷ শীত বা গ্রীষ্মে তাপমাত্রার পার্থক্যে পানির তাপমাত্রাও পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তন সত্ত্বেও শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী সব প্রাণীরই রয়েছে নিজস্ব প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা।
পানির ‘ডেন্সিটি অ্যানোমালি’ নামের একটি বৈশিষ্ট্যের জন্য শীতকালে পানি গাছপালার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে৷
বেশিরভাগ পদার্থের মতো শীতল হলে পানির ভরও কমে যায়৷ তবে সেই পার্থক্যের সর্বোচ্চ মাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে৷ তাপমাত্রা আরো কমে গেলে পানি আবার সম্প্রসারিত হয়৷ জমে গেলে পানির ভর প্রায় নয় শতাংশ বেড়ে যায়৷ অণুগুলি স্ফটিকের কাঠামো ধারণ করে বলে এমনটা ঘটে৷ তরল পানির তুলনায় সেটির আরও জায়গার প্রয়োজন হয়৷
এই অবস্থা মোকাবিলা করতে গাছপালা একটি কৌশল কাজে লাগায়৷ পানির দ্রবীভূত হবার ক্ষমতা কাজে লাগাতে কোষে শর্করা জমা করা হয়৷ ভাসমান শর্করার অণুগুলি বরফের স্ফটিক তৈরি হতে দেয় না৷ ফলে হিমাঙ্কের মাত্রা পাঁচ থেকে ছয় ডিগ্রি কমে যায়৷
এ কারণেই গ্লাসে ভরা সাধারণ পানি ডিপ ফ্রিজে রাখলে প্রায় এক ঘণ্টা পর জমে যায়৷ অথচ শর্করার দ্রবণ আরও বেশি সময় ধরে তরল থাকে৷
বেকারত্ব সহ্য করতে না পেরে কিডনি বিক্রির আবেদন
প্রবাসী প্রেমিকের বাসায় থাকছেন পপি, ফের বিয়ের গুঞ্জন
রুই জাতীয় মাছও পানির বরফহীন অংশে আশ্রয় খোঁজে৷ সেই মাছের শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পানি হওয়ায় বরফ থেকে সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি৷ বসন্তকালে সব উদ্ভিদ ও প্রাণী আবার পানির উপরের স্তরে ফিরে যেতে চায়৷
মানুষের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ উপাদানও পানি৷ তবে মাছের মতো শীতল রক্তের প্রাণীর সঙ্গে আমাদের তফাত হলো, আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রাখতে হয়৷ গ্রীষ্মে ঘাম ঝরিয়ে অথবা পার্কে হেঁটে সেই ব্যবস্থা করতে হয়৷ সেখানে সাধারণত অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও মনোরম পরিবেশ থাকে৷
news24bd.tv / নকিব
