স্বর্ণ ছিনতাইয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের গাড়িচালক, দুজন রিমান্ডে

স্বর্ণ ছিনতাইয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের গাড়িচালক, দুজন রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক

‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৯০ ভরি সোনা লুটের অভিযোগে  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই আদালত অপর দুই আসামি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইমদাদুল হক ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্র্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে গাড়িচালক ইব্রাহিম শিকদার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ভয়েসে চলবে ইউটিউব

ভালগারিজম নিয়ে মুখ খুললেন পূর্ণিমা

তরুণীকে ৩৮ জনে মাসের পর মাস ধর্ষণ

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি এমদাদুল ও আলমগীরকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুই আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জিআরও আরো বলেন, এ ছাড়া এ মামলায় গতকাল মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন, সোর্স হারুন ও সিপাহি আমিনুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি বাদীকে তুলে নিয়ে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যান।

অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন।

এ মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক (এডি) এস এম সাকিব হোসেনসহ মোট আটজনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে জীবন পাল ও রতন কুমার সেন গত ১৮ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গ্রেফতার কর্মকর্তা সাকিব হোসেন ও তার দুই সহযোগী সেপাই আমিনুল ও সোর্স হারুন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর জিন্দাবাহার লেনের একটি স্বর্ণের দোকানের মাকিলকে তুলে নিয়ে যান। তারা ওই দোকানের ৯০ ভরি সোনা লুট করেন।

এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়।

অভিযুক্ত মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সাকিবের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়। তিনি ৩৪তম বিসিএস এর নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

news24bd.tv/আলী