উত্তর আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশ তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ৬২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট কায়িস সাঈদ অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তাকে চিঠির মধ্যে অত্যন্ত বিষাক্ত পাউডার দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইয়্যেদের অফিস কক্ষে বুধবার পাওয়া রহস্যময় একটি খাম খুলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক কর্মকর্তা।
পরিচালক পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা ইতোমধ্যে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। বুধবার থেকেই তিনি সজ্ঞাহীন অবস্থায় আছেন। বুধবার পাওয়া রহস্যময় ওই খামের মধ্যে কোনো ডকুমেন্ট কিংবা চিঠি ছিল না। তার পরিবর্তে সেখানে কিছু পাউডার (গুড়া) পাওয়া যায়।প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তার কাছে যাওয়ার আগে সব ধরনের চিঠিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা না জানা গেলেও সন্দেহের চোখ ইসরাইলের দিকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিষাক্ত পদার্থ যদি কয়েক মিলিগ্রামও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে ঢোকে, তাহলে ওই ব্যক্তির তাৎক্ষণিক মৃত্যু হতে পারে।
মৌমাছি নিয়ে কুরআনের বাণীকেই মেনে নিলো বিজ্ঞান
প্রতিদিন সকালে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবি
দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ `জুমার’ দিনে যা করবেন
কায়িস সাঈদের ভাই নোফাল জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট সুস্থ রয়েছেন। তাকে হত্যার প্রচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে ৯৯ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশটির প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টায় ইসরায়েলের হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের অন্যতম কঠোর সমালোচক কায়িস সাঈদ।
এ প্রসঙ্গে তিউনিশিয়ার পিপলস মুভমেন্টের নেতা জহির আল-মাগজাভি বলেন, প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টার জন্য ইসরায়েলকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট সাঈদ বহুবার আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
news24bd.tv/আলী