পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন অভিবাসী শিশুদের একত্রিত করবেন জিল বাইডেন

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন অভিবাসী শিশুদের একত্রিত করবেন জিল বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির কারণে অনেক অভিবাসী পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারে অভিবাসীদের পুনর্মিলনে কাজ করবেন। এবার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন অভিবাসী পরিবারগুলোকে একগ্রিত করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। গত শুক্রুবার হোয়াইট হাউজের মূখপাত্র একথা বলেন।

 

জো বাইডেন বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোকে একত্র করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে। সে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আগামী মঙ্গলবার একটি টাস্কফোর্স ঘোষণার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। তিনি তা রাখবেন।

যে টাস্কফোর্স তৈরি করা হবে, তার দায়িত্বে থাকবেন বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আলেজান্দ্রো মেয়রকাস। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে সিনেট থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন তিনি।

জিল বাইডেন শিক্ষা বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। স্বামী প্রেসিডেন্ট থাকলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। গত ডিসেম্বরে তিনি টেক্সাস সীমান্তের কাছে মেক্সিকোর একটি অভিবাসী শিবির পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘আমরা বরণ করে নেওয়ার জাতি। কিন্তু সীমান্তে আমরা সে বার্তা পাঠাই না। ’

জিল বাইডেনের এ মন্তব্য আগের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের পুরোপুরি উল্টো। সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ২০১৮ সালে শিশুদের একটি শিবির পরিদর্শন করে সমলোচনার মুখে পড়েছিলেন।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কমলাপুর স্টেশন ভাঙার অনুমোদন দিল

পাপুলের এমপিকান্ডে জড়িতদের বিচার চাই

যে আমল করলে বিশ্বনবী হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন

ইউএস বাংলা এখন আতঙ্কের বাহন!


ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতিমালার কারণে শত শত অভিবাসী পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক শিশুকে পরিবার থেকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিশুদের পৃথক করে রাখার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পিছু হটেন ট্রাম্প।  

পরে আদালত পরিবারগুলোকে একত্রে থাকার আদেশ দেন। কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৭০০ শিশুকে পরিবারের সঙ্গে থাকতে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়। কিন্তু এখনো ৬১১ শিশুর পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারেনি।  

ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কবলে পড়ে অনেক শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাইডেন ক্ষমতায় বসেই ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি বদলান। এবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অভিবাসী পরিবার গুলোকে একত্রিত করতে মার্কিন ফার্স্ট লেডির পদতেক্ষপকে স্বাগত জানিয়েছে অভিবাসীসহ সাধারণ মানুষরা।  

news24bd.tv আয়শা