সূরা আন-নাস (আরবি: سورة الناس; মানবজাতি)। আল-কুরআনের ১১৪ নম্বর এবং সর্বশেষ সূরা। এর আয়াত, অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৬ এবং রূকু, তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ১। সূরা আন-নাস মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
যদিও কোন কোন বর্ণনায় একে মক্কায় অবতীর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এর ছয় আয়াতে শয়তানের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য সংক্ষেপে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়।শানে নুযূল
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) উপর এক ইহু্দী জাদু করেছিল। এর ফলে তিনি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে
সূরা কাহাফ তিলাওয়াতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত
করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে
সূরা নাস
قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ (১) مَلِكِ النَّاسِ (২) إِلهِ النَّاسِ (৩) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (৪) اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِي صُدُوْرِ النَّاسِ (৫) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (৬)
উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্ না-স। মালিকিন্ না-স। ইলা-হিন্ না-স। মিন্ শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্ না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্ না-স।
অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে ও (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন ও মানুষের মধ্য হতে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এ দুইটি সূরা তোমরা পড়তে থাক। কেননা, এ দুইটি সূরার মতো কোনো সূরা তোমরা কোনো দিন পাবে না। ’ (মুসলিম ৮১৪)
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা ( সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। ’ (জামে তিরমিযী, হাদীস: ২৯০৩)
news24bd.tv/আলী