সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার অভিযানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অনুমোদন দিয়েছিলেন সেই খবরকে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ‘নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে বলা হয়েছে। সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যার সঙ্গে সৌদি আরবের ক্রাউন্স প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান জড়িত নেই বলে দাবি করেছে সৌদি আরব।
শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরব বিবৃতিতে এভাবে প্রতিবাদ করে, ‘সৌদি আরব এই নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন প্রত্যাখ্যান করছে। ’
অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে
সূরা কাহাফ তিলাওয়াতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত
করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দপ্তরের এই প্রতিবেদন বলছে, ‘সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা বা আটক করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি ক্রাউনের প্রিন্সই এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা বলে ২০১৮ সালেও সিআইএ সন্দেহ করেছিল। তবে এর আগে কখনও বিষয়টি প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরবের দাবি, ‘এই অপরাধ ভিন্ন একটি গ্রুপ করেছে, যারা সব প্রাসঙ্গিক বিধি লঙ্ঘন করেছে। ’
‘জড়িত সবাইকে অভিযুক্ত করে সাজা দিয়েছে আদালত।
ওয়াশিংটন পোস্ট’-র কলামনিস্ট ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। সেদিনই নিখোঁজ হন তিনি। সৌদি সরকার ১৭ দিন দাবি করেছিল তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপে ১৯ অক্টোবর স্বীকার করে, খাশোগিকে সৌদি দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে ১১ জন সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছিল।
তুর্কি পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।
news24bd.tv/আলী
