আওয়ামী লীগ এখন গাছের পাতায় পাতায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেছেন, এটা খুবই বিপদজনক ব্যাপার। এটা যদি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকত তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এটা যদি প্রফেশন হয়ে যায় তাহলে খুব মারাত্মক ব্যাপার।
‘আমি মনে করি প্রফেশনাল হিসেবে যারা আছেন তাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আপনার প্রফেশনে আপনি সাকসেসফুল কিনা সেটা লক্ষ্য রাখা। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী সেটা দেখার দরকার নেই। শুধু একটা জিনিস দেখতে হবে যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কিনা। ’
সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি এই কথাগুলো বললাম কারণ আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন:
রাঙামাটিতে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
৭৫০ মে.টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবি, শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। আমরা সবাই এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের রেজাল্ট দেখবেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমি পুলিশ ভাইদের বলতে চাই মানুষ আপনাদের কাছে অনেক কিছু আশা করে। তা পূরণ করবেন কী করবেন না আপনাদের ইচ্ছা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবনে কোনো কৈশর ও যৌবন নেই। গতকাল ষাট বছরে পা দিয়েছি। জীবনটা খুব ছোট। জীবন একবারের জন্যই আসে দুইবার আসে না। তো আমি এই জীবনটাতে কী করলাম। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই ধরনের মানুষ আছে। একধরনের মানুষ আবেগ দিয়ে রাজনীতি করে। আরেক ধরনের মানুষ তাদের মাথার বুদ্ধি দিয়ে। যারা আবেগ দিয়ে করে তাদের জন্য রাজনীতিটা খুব কঠিন হয়ে যায়। আবেগ না থাকলে কোনো মুক্তিযোদ্ধা কী যেত যুদ্ধ করতে। বাঁশ দা-কুড়াল নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল তারা। আমি দেখেছি আমার বাবা যখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বল্লম দা নিয়ে তারা উদ্যত হয়েছিল। একজন বঙ্গবন্ধুর কারণেই এই বিষয়টা সম্ভব হয়েছে।
হাদীসের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি যদি অবৈধ কাজ করি আমার ছেলে-মেয়েও হাশরের ময়দানে আমাকে চিনবে না। সুতরাং আমি এমপি গাজী ভাই মন্ত্রী আমাদের এ সম্মান আল্লাহ দিয়েছেন। সব ধর্মই ভালো কথা বলে কোনো ধর্ম খারাপ কথা শেখায় না। ভুল করার পর র্যে সংশোধন করে তাকে আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন। এখানে অনেকে আছেন যাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধ না করলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বাবা মা একসাথে যুদ্ধ করেছে আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের নেতৃত্বে।
‘আজকে দেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আপনারা আমার চেয়ে কম জানেন না। এটা শুধু শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র না। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। রাষ্ট্রের মূল কাঠামেগুলোকে দেশের বাইরে থেকে বসে প্রতিনিয়ত আঘাত করা হচ্ছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা হচ্ছে এই রাষ্ট্রটাকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে কারণ আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে থাকবে। আপনারা ভালো কাজ করবেন আপনাদের প্রশংসা করবো খারাপ কাজ করবেন আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলব। এখানে কোনো ছাড় হবে না। কারণ আল্লাহর কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। ’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
news24bd.tv তৌহিদ