করোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্য সরকারি সংস্থার মতো কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু পুলিশ বলছে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তাই প্রথমদিনে মানুষকে পুলিশ সচেতন করছে।
লকডাউনের প্রথম দিনটি ছিল একেবারেই ঢিলেঢালা। রাস্তায় শুধু বাসের দেখা ছিল না। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিক্সা সবই চলেছে। রাজপথে মানুষ যেমন প্রয়োজনে নেমেছেন টিক তেমনি অপ্রয়োজনেও নেমেছেন অনেকে।চট্রগ্রামে সিএনজি তে গল্প করতে করতে যাচ্ছিলেন এক পুরুষ ও মহিলা। তাদের কারও মুখে নেই মাস্ক। বিষয়টি নজরে আসে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শামীম আনোয়ারের। তাদের মাস্ক ছাড়া দেখে গাড়ি থামাতে বলেন তিনি। কিন্তু এরপরই মহিলাটি মুখের নিচে নামানো নিকাব দ্রুত উপরে উঠিয়ে মুখমণ্ডল ঢেকে ফেললেন।
সহকারী পুলিশ সুপার শামীম আনোয়ার বলছেন, আমাদের মাস্ক সংক্রান্ত প্রশ্নবাণ থেকে আপাতত মুক্তি মিলেছে মহিলাটির। কিন্তু পুরুষটি? তিনি কি করে নিজেকে বাঁচাবেন! তার তো আর নিকাব বা এ ধরনের কিছু নেই। হাতের কাছে কোন কিছু খুঁজে না পেয়ে অগত্যা নারী সহযাত্রীর বোরকার স্কার্ফ দিয়েই ডাকলেন নাক! পুলিশের হাত থেকে বাঁচা ভীষণ জরুরি, করোনা ভাইরাস থেকে নয় কিন্তু!
চট্টগ্রাম পুলিশের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের ফেসবুক পেইজে এই ঘটনার সচিত্র বর্ণনা এভাবেই করা হয়েছে।
পুুলিশ বলছে লকডাউনের প্রথম দিন হওয়াতে তারা নিয়ম মেনে চলার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন। এরপরও যদি মানুষ আইন না মেনে চলেন, তাহলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
news24bd.tv/আলী