এই যে ছবিটা দেখছেন তার নাম কেন্ডাল স্কুটা। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এবোটসফোর্ড রিজিওনাল হাসপাতালের একজন নার্স তিনি। মঙ্গলবার রাতে ইনটেনসিভ ওয়ার্ডে ডিউটি সেরে এভাবেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। না, তার স্বজন কেউ মারা যাননি হাসপাতালে।
আগের রাতে হাসপাতালে তার ওয়ার্ডে কোভিড আক্রান্ত একজন রোগীর যন্ত্রনা আর মৃত্যুর দৃশ্য তাকে এতোটাই স্পর্শ করে যে তিনি নিজেকে স্বাস্থ্যকর্মীর বিধিনিষেধের গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পারেননি। হাসপাতাল থেকেই বেরিয়েই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন তিনি। তার প্রশ্ন- সামান্য, খুবই সামান্য একটা কাজ মানুষ কেন করতে পারবে না! মহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষের এই সামান্য কাজটুকুই তো যথেষ্ট!
নিজের এই ছবিটি তিনি পোষ্ট করেছেন ইন্সটাগ্রামে। সঙ্গে নিজের আকুতি জুড়ে দিযেছেন ছবির সাথে।
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়ে করলেন শামীম-সারিকা!
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেল ৯৫ জন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৪২৮০
‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম এক দিনের রিমান্ডে
আগের রাতের ডিউটির একটি অভিজ্ঞতার কথাও তিনি লিখেছেন ইন্সটাগ্রামে তার পোষ্টে। একজন রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে তাঁর বেদনার্ত মুখ, চিকিৎসক, নার্স অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটাছুটি তাকে ভীষনভাবে স্পর্শ করে। চোখের সামনে ছটফট করতে করতে একজন মানুষের মরে যাওয়ার দৃশ্য তাকে আলোড়িত করে। হাসপাতালগুলোয় আইসিইউর সংকটের কথা তো সবারই জানা আছে।
তিনি বলছেন, গত এক বছর ধরেই এই ভাবে তিনি মৃত্যু দেখে আসছেন। আর যেনো এই সব মৃত্যু তিনি আর সইতে পারছেন না। তিনি বলছেন, সবাই ভাবে, কোভিডে কেবল বয়স্করারা মরছে। না, তা ঠিক না। এদের কারোই মুত্যুর সময় এখনো আসেনি, অথচ এরা মরে যাচ্ছে! জীবনকে শুরুই যে করতে পারেনি, চোখের সামনে তার মৃত্যু কিভাবে মানুষ সইতে পারে!
কেন্ডাল স্কুটা লিখছেন, আমি প্রতিদিনই নিজকে প্রশ্ন করি, মানুষ কখন, কবে এই মহামারীকে সিরিয়াসলি নেবে? কখন? তারপর তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দোহাই, তোমাদের কাছে ভিক্ষা চাই, অনুরাধ করি, শুধু এই কাজটুকু করো। ঘরে থাকো, মাস্ক পরো আর যখনি সুযোগ পাও ভ্যাকসিন নিয়ে নাও। আমরা যারা হাসপাতালে কাজ করছি আমরা আর নিতে পারছি না। দোহাই তোমাদের, সামান্য কাজটুকু করো।
শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।
news24bd.tv / কামরুল