ভারতে যা হচ্ছে তার প্রধান কারণ মোদির কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা

ভারতে যা হচ্ছে তার প্রধান কারণ মোদির কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা

Other

গোটা ভারত জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই যে অক্সিজেনের তীব্র সংকট, তার প্রধান কারণ স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চরম অবৈজ্ঞানিক, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা।  

গত বছর করোনা মোকাবিলায় যখন বিশ্বের ধনী, গরীব- সব দেশই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন প্রদীপ জ্বালানো, থালা বাটি বাজানোর মতো চরম অবৈজ্ঞানিক, কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিষয়গুলো মানুষের ওপর চাপিয়েছিলেন। ফলে কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভেতরে সেদিন থেকে যে অসচেতনতা তৈরি হয়েছে, সেটিই আজও ভারতকে চরম সংকটের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।

ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক গৌতম রায় লিখেছেন কথাগুলো।

তিনি আরও লিখেছেন, কুম্ভ মেলার মতো জমায়েতের ভেতর দিয়ে কীভাবে করোনা ছড়িয়েছে- তা বিশ্বের অজানা নয়। অথচ ২০২০ এ কোভিড পরিস্থিতি ভারতে ভয়াবহ হওয়ার বেশ আগে দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিগ জামাতের মারকাজকে ঘিরে চরম সাম্প্রদায়িক প্রচার চালিয়েছে ভারতের শাসক দল বিজেপি আর তাদের মূল মস্তিষ্ক আর এস এস।

গৌতম রায় লিখেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে একফোঁটা সতর্কতা না দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিজের দলকে জয়ী করা। এজন্যে তিনি দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনাচে কানাচে প্রায় নিত্য যাত্রীতে পরিণত হয়েছেন।

অথচ জরুরিভিত্তিতে অক্সিজেন উৎপাদনে একটি উদ্যোগও কেন্দ্রীয় সরকার নেয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার স্বভাবসুলভ প্রগলভ পথে হাঁটছেন। আর তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছেন কম অক্সিজেন নেওয়ার জন্যে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়ছে তখন ভারতে তার মোকাবিলায় বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুই বার করে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন নিজের দলকে ভোটে জেতাতে। আর এই সময়কালেই ২০২০-২১ সালে আন্তর্জাতিক দুনিয়াতে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতির কথা জানার পরেও ভারত সরকার ধনী দেশগুলিতে ৯৩০০টন অক্সিজেন রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ, মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশীদের প্রতি কিন্তু এই সদয় মানসিকতা দেখায়নি ভারত সরকার।  
ওদিকে কেরালা সরকার কিন্তু তাদের নিজেদের রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউজনিত অক্সিজেনের চাহিদা মিটিয়ে পাশের রাজ্য গোয়া, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকে অক্সিজেন সরবরাহ করছে।  

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কোভিডকে মোকাবিলা করায় কেরালায় করোনা রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই কমে এসেছে। তাই কেরলের পক্ষে পাশের রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।

লেখাটি ভালো লেগেছে। জানি না ভারতবাসী নরেন্দ্র মোদীকে কীভাবে মূল্যায়ণ করবেন তবে ব্যর্থ রাজনৈতিক নেতৃত্ব একটা দেশকে কীভাবে মৃত্যুপুরি বানাতে পারে তার প্রমাণ এই নরেন্দ্র মোদি। আমার মনে হয় সবার ভারতের অবস্থা দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

শরিফুল হাসান, উন্নয়ন কর্মী, (ফেসবুক থেকে নেয়া)

news24bd.tv/আলী