রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে পোনা মাছ অবমুক্ত

রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে পোনা মাছ অবমুক্ত

Other

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করা হয়েছে পোনা মাছ। রোববার দুপুরে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিপনি কেন্দ্র ফিসারী ঘাট এলাকায় পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

এ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ আব্দুল লতিফ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি জেলা ব্যবস্থাপক লে.কর্ণেল কমান্ডার এম. তৌহিদুল ইসলাম (ট্যাজ) ও  রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা উপস্থিত ছিলেন।

বিএফডিসি সূত্রে জানা যায়, বন্ধকালীন সময় রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি লক্ষ্যে এ পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। কারণ রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ হ্রদে  প্রতি বছর প্রাকৃতিক প্রজননকৃত মাছের মধ্যে শতকরা ৩১ ভাগ কাতল, ১২ ভাগ রুই, শতকরা ৭ ভাগ মৃগেল ও ৫১ ভাগ কালিবাউশের প্রজনন হয়। যা দেশের সামগ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

তাই মাছের সুষ্টু প্রজননের লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস হ্রদের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে। একই সাথে বন্ধের সময় কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এবার মোট ৫ মেট্রিক টনের অধিক পোনা মাছ কাপ্তাই হ্রদে মাছ অবমুক্ত করা হবে। প্রথম ধাপে মেট্রিক টন পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে বাকি পোনা মাছগুলোও অবমুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন


গণপরিবহন চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ

দখলদারদের সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: ফখরুল

ক্ষমতার আসনে আবারও দিদি, ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসব (ভিডিও)

পদ্মা সেতুর পুরো স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের


খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ একটি সম্পদ। হ্রদের মাছ দেশে-বিদেশে প্রসারিত। তাই মাছের ভান্ডার হিসেবে বহু আগে সবার কাছে কাপ্তাই হ্রদ পরিচিতি লাভ করেছে। তাই হ্রদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ হ্রদ বেঁচে থাকলে মাছ বেঁচে থাকবে। মানুষের কর্মসংস্থানও বেঁচে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। মাছের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে। মাছের প্রজনন হলে মাছের ঘাটতি পূরণ হবে। যারা মাছ শিকার উপর নির্ভশীল মৎস্য জীবিদের বেকার সময়ে সরকারি পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বিজিএফের খাদ্য শস্য। যাতে মৎস্যজীবীরা না খেয়ে না থাকে। এসময় তিনি রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

news24bd.tv আহমেদ