ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের সমস্যা আজকের নয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল নামক রাষ্ট্র তৈরী হওয়ার পর থেকে। এই রাষ্ট্র তৈরির পেছনে ছিল ঔপনিবেশিক শক্তি ব্রিটেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাস করা অত্যাচারিত ইহুদিরা নিজেদের জন্য একটি স্বদেশ চেয়েছিল।
সেই স্বদেশই তাদের গড়ে দেওয়া হয়েছে, তবে ফিলিস্তিনিরা যে অঞ্চলে হাজার বছর ধরে বাস করতো, সেই অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত ক’রে, উদবাস্তু ক'রে। যারা ইসরায়েল তৈরি করেছিল, তাদের উচিত ছিল ফিলিস্তিনিদের জন্যও একটি রাষ্ট্র তৈরি করা। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ছয় দিন ব্যাপী একটি যুদ্ধ করে মিশর আর জর্দানের আরও ভূমি দখল করে নিয়েছিল, তারপরও ফিলিস্তিনিদের তাড়ানো বন্ধ করেনি।ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়, তা অসম যুদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ
গ্রহাণু ঠেকাতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগবে: নাসা
তাহসান-মিথিলার ‘সারপ্রাইজ’-এর রহস্য উন্মোচন, আড়ালে অন্য কেউ
ইসরায়েলের হামলা নিয়ে নোয়াম চমস্কির টুইট
ইসরায়েলের হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধ: মিয়া খলিফা
আজ ইউরোপ আর আমেরিকা চেষ্টা করে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে। কিছুদিন শান্তি বিরাজ করে, আবার শুরু হয়ে যায় সংঘাত। আমার মনে হয় না এই সংঘাত-সংঘর্ষ অচিরে শেষ হবে। এ আরও দীর্ঘকাল চলবে। ফিলিস্তিনিরা রাষ্ট্র চায়, তবে যে ভূমিতে তারা বাস করতো, সেই ভূমির কিছুটা হলেও ফেরত চায়। কিন্তু সেই ভূমিতে এখন বাস করছে ইসারেয়েলিরা। এরাও দেবে না, ওরাও ছাড়বে না। এই সম্পর্কের মধ্যে এখন জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের অধিকার নিয়ে আগুন জ্বলছে। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে কালো ধোঁয়া। দূর থেকে এই অসম যুদ্ধ দেখতে হবে আমাদের, এ ছাড়া উপায় কী? যারা ইসরায়েলকে সমর্থন করছে আজ, তাদের যদি ফিলিস্তিনিদের মতো অবস্থা হতো, তারাও জানে তারা তখন ফিলিস্তিনিরা যা করছে, তাই করতো। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইতো।
যুদ্ধ অনেক দেখেছি, আর দেখতে ইচ্ছে করে না। আর দেখতে ইচ্ছে করে না বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা। শান্তি দেখতে চাই সর্বত্র। কিন্তু শান্তি বোধহয় মানুষ নামক প্রাণীর জন্য খুব সহজ নয় পাওয়া।
news24bd.tv / নকিব