৪০ বছর আগে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশকে পেয়েছিলেন আর আজকে ৪০ বছর পরের বাংলাদেশে আপনি কী দেখছেন-- এই পার্থক্যটা আপনি ধরতে পারেন তো? তাহলেই দেখবেন, এ পরিবর্তনের বেশিরভাগটাই হয়েছে শেখ হাসিনার হাতে কিংবা তার কারণে। প্রধানমন্ত্রীতো বটেই বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবেও শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এবং এদেশের রাজনীতিকে যা দিয়েছেন তা দেশের অন্য কোনো রাজনীতিবিদ ভাবতেও পারবেন না।
রাজনৈতিক কৌশলেও তিনি যে সক্ষমতা দেখিয়েছেন তার উদাহরণও আমাদের দেশে কিংবা উপমহাদেশে নেই, বিশেষ করে নিজের জীবনকে বাজি রেখে এভাবে একা লড়ে যাওয়া রাজনীতিবিদের সংখ্যা এ উপমহাদেশে নেই। এমনকি উনবিংশ শতকের পরে বিশ্ব-ইতিহাসেও কোনো রাজনৈতিক নেতার এরকম বর্ণাঢ্য, ঘটনাবহুল এবং এত মৌলিক পরিবর্তন ঘটানোর উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর হবে।
দু:খজনক সত্য হলো, শেখ হাসিনাই যদি বাংলাদেশের না হয়ে অন্য কোনো দেশের নেতা হতেন তাকে নিয়ে এদেশে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত প্রশংসা জানানোয়। যেহেতু তিনি বাংলাদেশের এবং বঙ্গবন্ধু-কন্যা সেহেতু তাকে প্রশংসা জানাতে সকলের কুন্ঠা, সুশীলরা মনে করেন এটা করলে লোকে তাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে দেবে, যেন আওয়ামী লীগ সমর্থন করা অন্যায়। আর রাজনৈতিক বিরোধীরাতো দিনরাত তার মৃত্যু কামনায় গ্রেনেড কিংবা তলোয়ারে শান দেন। ফলে শেখ হাসিনা থেকে যান প্রশংসার আড়ালে, যতটুকু হয় তার প্রায় সবটুকুই নিন্দা।
আজ সেই দিন, ৪০ বছর আগে যেদিন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি নতুনতর মাত্রা পেয়েছিল। দিনটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য, অর্থনীতির জন্য সেলিব্রেশনের বা উদযাপনের। থ্রি চিয়ার্স শেখ হাসিনা।
মাসুদা ভাট্টি
(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )