টাকা হাতিয়ে নিতো ১১ মামলার আসামি

মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা

Other

মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতেছিল সোহেল ইসলাম রানা। সচিব পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের ফোন করে মন্ত্রীদের আত্মিয়র নামে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতো ১১ মামলার পলাতক এ আসামী। এছাড়া কন্ঠ নকল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবিকে পুঁজি করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে আসছিল সে।  

এ যেন আরেক সাহেদ।

নাম যার সোহেল ইসলাম রানা। ১১ মামলার পলাতক এ আসামী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতেন। আর নিজেকে কখনও আওয়ামীলীগ নেতা আবার কখনও বিভিন্ন মন্ত্রণাললেয় সচিব হিসেবে জাহির করে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বাগিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা।  

চলতি মাসের ১২ তারিখ কৃষিমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোলের পরিচয় ও কন্ঠ নকল করে ফোন দেন শেরপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহিত কুমার দেকে।

শেরপুরেই কৃষি মন্ত্রীর শালিকার হঠাৎ টাকার প্রয়োজন বলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফেরত দেয়া সাপেক্ষে টাকা পাঠাতে বলে রানা। তবে শতর্ক থাকায় প্রতারিত হওয়া থেকে বেঁচে যান মোহিত।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই সোহেল রানা ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। তারা বলছে, রানা মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদের নাম ভাঙ্গিয়ে দির্ঘ দিন ধরে এধরণের অপরাধ করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলার সত্যতাও পেয়েছে পুলিশ। মূলত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবিকে পুঁজি করে রানা এই অপকর্ম চালিয়ে আসছিল বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এধরণের প্রতারক চক্র আরো অনেক রয়েছে উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে ছবি দেখে বা নির্ভির যোগ্য নাম ব্যবহার করে কেউ টাকা চাইলে, তা পাঠানোর আগে যাচাইয়ের পরামর্শ দেন।

news24bd.tv / কামরুল