দলবদ্ধ অপরাধে উদ্বেগ-আতঙ্ক

রাজধানীসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য

Other

রাজধানীসহ সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আবারও বেড়েছে। বিভিন্ন নামে গ্যাং গ্রুপ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা নিজেরা যেমন দ্বন্দ্বে লিপ্ত, তেমনি তাদের ভয়ে এলাকাবাসীও আতঙ্কিত। পুলিশ বলছে, গ্যাংদের দমনে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে।

আর সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।

রাজধানীসহ সারাদেশেই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম বেড়েছে। গেল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শনিরআখরায় ইস্টার্ন সিটি টাওয়ার মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৩ কিশোরের উপর হামলা চালায় ১০/১২ জন কিশোর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাদের কয়েকজনের হাতে ছিল ছুরিসহ ধারালো অস্ত্র।

গ্যাং গ্রুপগুলোর অধিকাংশ সদস্যই স্কুল পড়ুয়া। তারা ফেসবুকে নৃশংস বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। পরে দল বেঁধে মাঠে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও নিরীহদের মারধর করে বেড়ায়। ফেসবুকের মাধ্যমে তারা অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানোরও চেষ্টা করে থাকে। উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা তিন ধরনের পরিবারের সদস্যরাই গ্যাং গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িত।

একটি গ্রুপ যখন আরেকটির উপর আক্রমণ করে তখন তার সহযোগিতায় অন্য গ্রুপগুলোও এগিয়ে আসে। ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের উপর হামলা চালায়। কিশোর গ্যাং গ্রুপের দৌরাত্ম্যে একদিকে যেমন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অস্থির, তেমনি অনেক এলাকাবাসীও আতঙ্কিত।

পুলিশ বলছে, এদেরকে দমনে অভিভাবকসহ সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এলাকাভিত্তিক কার্যক্রম চালাতে হবে।

আর সামাজিক মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা ও অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। বলছেন, এক্ষেত্রে সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে জড়িত কিশোরদের পরিবার দায় এড়াতে পারে না।

এছাড়া অপরাধী গ্রেফতার হয়ে জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় যাতে একই অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ারও পরামর্শ তাদের।

news24bd.tv / কামরুল