কর্ণফুলীর বুকে পলিথিনের চর, কাজে আসেছে না চীনের সাকশন ড্রেজার

Other

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বুকে পলিথিনের চর। চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে পলিথিনের স্তর জমায় ব্যাহত হচ্ছে  খনন কাজ। চীন থেকে আনা সাকশন ড্রেজার দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায়  তা  ফেরত গেছে । গ্যাব ড্রেজার দিয়েই চলছে বন্দরের খনন কার্যক্রম।

৪৭ শতাংশ শেষ,আগামী বছরের মার্চে শেষ হবে খনন কাজ বললেন বন্দর সচিব। আর একে হাস্যকর বলছেন নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম নদী খাল রক্ষা আন্দোলনকারীরা।  

দখল দূষনে মরতে বসেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী। সবশেষ ড্রেজিং হয়েছিলো ১৯৯০ সালে।

১০ বছর পরপর ড্রেজিংয়ের নিয়ম থাকলেও হয়নি তা । ভরাট হয়েছে, নদীর তলদেশ হয়েছে তীর দখলও। ২০১১ সালে ড্রেজিং আবার শুরু হলেও আইনি জটিলতায় আটকে যায় তা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে 'সদরঘাট টু বাকলিয়ার চর ড্রেজিং' প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ততদিনে প্রকল্পের ব্যয় ২৫৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২১ কোটি টাকা। এখনো চলছে কাজ।

তবে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ বলছে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে জমে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬ মিটার পুরু স্তর। এখন গ্যাব ড্রেজার দিয়ে চলছে নদী খনন। শেষ হয়েছে ৪৭ শতাংশ কাজ।

টেকসই ড্রেজিং করার দাবী নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনকারীদের। খাল নদীতে পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যকর সহযোগীতা চান সিটি মেয়র। কর্ণফুলী রক্ষায় বন্দর নগরীর বর্জ্যব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

news24bd.tv/আলী