কামরাঙ্গীরচরে বিস্ফোরণে মারা গেলেন ছোট্ট শিশু আয়শা

কামরাঙ্গীরচরে বিস্ফোরণে মারা গেলেন ছোট্ট শিশু আয়শা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাসায় বিস্ফোরণে ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় বাবা-মায়ের পর এবার মারা গেছে এক মেয়ে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়শার (৬) মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন।

এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার বাবা অটোরিকশা চালক স্বামী আ. মতিন (৪০)। এছাড়া শুক্রবার (৯ জুলাই) মারা যান আ. মতিনের স্ত্রী ময়না। তিনি ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের আরেক মেয়ে মায়শা ৪২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখনও চিকিৎসাধীন  ।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে আহসানবাগ সিলেটি বাজার কাজি গলিতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন- ইজিবাইক চালক আ. মতিন (৪০), তার স্ত্রী গৃহিণী ইয়াসমিন আক্তার ময়না (৩৫), দুই মেয়ে আয়শা (৬) ও মায়শা (১০) এবং ময়নার ভাগনে আবুল খায়ের রায়হান (২৫)।

১৮ শতাংশ দগ্ধ রায়হানকে চিকিৎসা শেষে শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধ রায়হান জানান, শুক্রবার তিনি বাসায় মায়ের কাছে গিয়েছিলেন। রাতে মতিনের পরিবারে একটি পাশের রুমে ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন:


করোনা টিকা নেবার পর যে ভুলগুলো করবেন না

কর্মস্থলে শ্রমিকের মৃত্যু থামছেই না

যে কারণে এফডিসিতে এবার ছয়টি গরু কোরবানী দেবেন পরিমনি

ভোরে যখন তারা সবাই ঘুমিয়েছিলেন তখন বিকট শব্দে একটা বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই ঘুম ভেঙে গেলে চারদিকে আগুন দেখতে পান। বিস্ফোরণে রুমের দরজাও ভেঙে গেছে। পরে তারা দৌড়ে বাসায় বাইরে চলে যান। তবে এর আগেই তাদের শরীর পুড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মতিন প্রতিদিন বাসাতেই অটোরিকশা চার্জ করত। অটোরিকশাটি বাসার বাইরে রেখে তার চার্জার রুমের ভেতরে বিদ্যুতের সঙ্গে সংযোগ করত। সেই চার্জার থেকেই বিস্ফোরণে এই দগ্ধের ঘটনা ঘটেছে।

news24bd.tv রিমু