আবারও সময়ে চেয়ে গণমাধ্যম নিয়ে যা বললেন ইভ্যালি এমডি

আবারও সময়ে চেয়ে গণমাধ্যম নিয়ে যা বললেন ইভ্যালি এমডি

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ইভ্যালি প্রসঙ্গ এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যেই বিভিন্ন সময় দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় বন্ধ এবং হট লাইনেও তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের ফোন রিসিভ করছে না।  

এছাড়া ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমেও চলছে  ইভ্যালি প্রসঙ্গে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই  সোমবার রাতে ফেসবুকে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল। সেখানে তিনি গণমাধ্যম এর ভূল ব্যাখ্যার (যদি হয়ে থাকে) জন্য ইভ্যালির বর্তমান বিজনেস মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে রাসেল বলেন, বানিজ্য মন্ত্রণালয় চাচ্ছেন কেউ যাতে আমাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হোন। আমাদের সবারই উচিত পদক্ষেপ গুলো কে সাধুবাদ জানানো।

কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হলে সর্ব প্রথম আমাদের বর্তমান নীতিমালা মেনে বিজনেস করতে দিতে হবে। যে নীতিমালার আলোকে গ্রাহকদের টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ।  

কিন্ত মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে যে সকল গণমাধ্যম লিকুইডিশন এর হেড লাইন করে, সেটির পরিষ্কার বিবৃতি না আসলে মন্ত্রণালয়ের সঠিক উদ্দেশ্য সফল হবে না।

আবার এই সকল গণমাধ্যম এর ভূল ব্যাখ্যার (যদি হয়ে থাকে) জন্য আমাদের বর্তমান বিজনেস মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংক, মোবাইল ফাইনান্সিং সার্ভিস, গেটওয়ে, আমাদের সম্মানিত ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
আমরা অবশ্যই আমাদের সামগ্রিক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কে জানাবো। আমাদের এতদিনের কার্যক্রম সবই ছিল একটি প্রফিটেবল ইকমার্স দার করানো, যা থেকে আমরা যেন বলতে পারি দেশের একটি কোম্পানি এই সময়ে সবচেয়ে বড় ব্যাবসায়িক জায়গায় বিদেশি বড় কোম্পানি কে পিছনে ফেলে লিড দিচ্ছে।

আজ ইকমার্স, ফুড ডেলিভারি, টিকেটিং, স্বাস্থ্য সহ সকল সেক্টরের লিডিং এ যাচ্ছে ইভ্যালি।


সময় চেয়ে যা বললেন ইভ্যালির এমডি

ইভ্যালি নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন( ভিডিও)

ঈদের পরের লকডাউনে যা বন্ধ ও খোলা থাকবে


আমাদের বিদেশ যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমরা শুধু সবার কাছে কিছুটা সময় চাই। নতুন নীতিমালায় আপনাদের টাকা আমাদের হাতে আশার কোন সুযোগ নাই যদি আপনারা পণ্য না পান। আমরা কিছুটা সময় পেলে সকল পূর্বে অর্ডার অবশ্যই ডেলিভারি করতে পারব।

এই অবস্থায় আমাদের ব্যাবসায়িক পরিবেশ ঠিক থাকা অত্যাবশ্বক। আমরা আশা করি মন্ত্রণালয়ে এবং বাংলাদেশে ব্যাংক আমাদের এই ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। বিস্তারিত আমি লাইভে বলব ইনশাল্লাহ।   সাথে থাকুন।

প্রসঙ্গত,ইভ্যালির সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা।

ইভ্যালির ওপর করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুলাই অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের ৪ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

news24bd.tv/আলী