বিশ্বের প্রবীণতম সরকার প্রধান মাহাথির

বিশ্বের প্রবীণতম সরকার প্রধান মাহাথির

শাহাদাত হোসেন, মালয়েশিয়া থেকে

মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান হতে যাচ্ছেন।

সাবেক সমর্থক ও অনুসারী নাজিব রাজাকের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব ছিলেন মাহাথির।

নির্বাচনে ১৯৫৭ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) জোটের পতন হলো।

একসময় এই জোট থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহাথির।

জয়ের পর মাহাথির বলেন, তার জোট পাকাতান হারাপান (আশার জোট) দেশে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।

এ ব্যাপারে নাজিব রাজাক এখনো মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুন → বিরোধীজোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ফের রাষ্ট্র ক্ষমতায় মাহাথির

news24bd.tv

সরকারি ফলে দেখা গেছে, নির্বাচনে ২২২ আসনের মধ্যে মাহাথির মোহাম্মদের পাকাতান হারাপান ১২৬ আসনে এবং দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বারিসান ন্যাশনাল ৮৮ আসনে জয় পেয়েছে।

সরকার গঠনের জন্য এরই মধ্যে মাহাথির মোহাম্মদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির রাজা। এখন নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

বিজয়ের পর কুয়ালালামপুরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ৯২ বছর বয়সী মাহাথির বলেন, তার জোট কেবল কতগুলো ভোটই পায়নি, কয়েকটি আসনও নিশ্চিত করেছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতাও নিশ্চিত করেছে।  

তিনি আশা করেন, বৃহস্পতিবার (আজ) শপথ অনুষ্ঠান হবে এবং সমর্থকদের বিজয় উল্লাস আরো দীর্ঘায়িত হবে। মাহাথির বলেন, ‘বিজয়ীদের কোনো ছুটি হবে না। ’

বিরোধী জোটের সমর্থকরা, যাদের বেশির ভাগই সারা জীবন একটি সরকার দেখে আসছে, উদযাপনের জন্য রাতে রাস্তায় নেমে এসেছে।

সুলা সেলভান নামে এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা একটা ভালো ভবিষ্যৎ পাবো। একটি জনবান্ধব, স্বচ্ছ, অবাধ, ঐক্যবদ্ধ সরকার আমাদের আশা। ’

মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ২২ বছর বিএন জোট থেকে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া অন্যতম ‘এশিয়ার টাইগারে’ পরিণত হয়। তবে তার কর্তৃত্ববাদী নীতির অধীনে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কারাগারে যেতে হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল মাহাথিরের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম যখন বরখাস্ত হন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগ ছিল। ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের ডাক দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সমকামিতার দায়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

শাহাদাত/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর