প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

টাকা লোপাটের তথ্য গোপন করতে অফিস কক্ষে আগুন

Other

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য গোপন করতে আগুন দেয়া হয় অফিস কক্ষে। এনিয়ে গঠন করা কমিটির অনুসন্ধানে প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু  বোর্ড সভার নামে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া ঝুলে আছে।  

২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর, আগুন লাগে বিএমডিএ’র গোদাগাড়ী জোনের অফিসকক্ষে।

আগুনের কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয় কমিটি। সেই কমিটির তদন্তে বেড়িয়ে আসে চার বছর ধরে চেক টেম্পারিং করে অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে।

৩০ জুলাই, ২০১২ থেকে ১৭ আগস্ট, ২০১৬

# ১৬৯টি চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮

# অপারেটরের ২৭টি চেকে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৫

# কৃষকের নষ্ট কার্ডের ১৩টি চেকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৮০

# বকেয়া বেতনের ৩টি চেক টেম্পারিং করে ৫২ হাজার ৬০

২০১২ সালের ৩০ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত চেক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এই জালিয়াতি ধামাচাপা দিতেই আগুন দেয়া হয়েছিল।

এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী জিএফএম হাসানুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন, সহকারী কোষাধ্যক্ষ খবিরুদ্দিন, সহকারী হিসাব রক্ষক মতিউর রহমানের। তিন দফা তদন্ত কমিটির রিপোর্টেই তাদের অভিযুক্ত করা হয়। যদিও তারা জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বিএমডিএ’র দুই দফা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিকতর তদন্তে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগুন দেয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মামলার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া আত্মসাত করা টাকাও ফেরত নিতে বলা হয়। কিন্তু সেপথে হাঁটেনি কর্তৃপক্ষ।

একই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েও চার বছর ধরে সাসপেন্ড ক্যাশ শাখার দুজন। আর বহাল তবিয়তে স্বপদে বহাল দুই সহকারী প্রকৌশলী। (তদন্ত রিপোর্টের ছবি)

আরও পড়ুন:


ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্ট: কাদের

৬ কোটিতে অ্যাপার্টমেন্ট কিনলেন দিশা

বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় ২ বছরে রোহিঙ্গা ২২০০ গ্রেপ্তার: আইজিপি

বিশ্বাস করতে হবে আমরা টি-টোয়েন্টিতেও ভালো দল: ডমিঙ্গো


news24bd.tv / কামরুল