নানা সমস্যায় জর্জরিত মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স

নানা সমস্যায় জর্জরিত মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স

Other

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের। এমন অবস্থা দেখে ক্ষুদ্ধ সেবা প্রত্যাশীরা।  

তাদের বক্তব্য, এ যেন সর্বাঙ্গে ব্যথা, উত্তরণের পথ অজানা।

স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, করোনাকালে তারা সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছে ও জনবল সংকটের কারণে হিমশিম খাচ্ছে। কবে পরিপূর্ণ জনবল মিলবে তাও সঠিকভাবে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসকের ৩১টি পদের মধ্যে কর্মরত আছে ১৪ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদ থাকলেও কর্মরত মাত্র একজন।

নিরুপায় হয়ে রোগী পাঠানো হচ্ছে নওগাঁ ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ২৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির সাতটি পদশূন্য।  

সামান্য কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় হাসপালটিতে। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন পরিচালনার জন্য সনোলজিস্ট নেই। এক্সরে ও ইসিজি করা হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়ে রোগী পাঠান প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। যে কয়েকজন চিকিৎসক আছে তাদের অনেকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে আসে না। কেউ কেউ প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত সময় পার করেন। দালাল সিন্ডিকেটের তৎপরতা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভুক্তভোগীরা।  

আন্তঃবিভাগে কখন কি খাবার দেয়া হয়; সেই তালিতা দৃশ্যমান নেই। ফলে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। রোগী ও তার স্বজনদের অভিযোগ, কাগজ-কলমে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ থাকলেও সময়মতো কাউকেই পাওয়া যায় না। সরকারি বরাদ্দে বিনামূল্যের তেমন কোনো ওষুধ পান না রোগীরা।  

চিকিৎসকের নির্দেশিত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা না করলে অবহেলা করেন। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের রুমে, আবার কখনো বাইরে বসে থাকেন। সংশ্লিষ্টদের অপ্রত্যাশীত আচরণ, অযত্ন অবহেলার কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা না নিয়ে চলে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিল্পী খাতুন, মেরিনা আকতার, পিয়ারা বেগম ও হাসমত আলী বলেন, আউট ডোরে টিকিট কেটে দীর্ঘলাইনে দাঁড়াতে হয় ডাক্তার দেখানোর জন্য। চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় কোনো কোনো দিন হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।  

তারা বলেন, দালাল দৌরাত্ব আর হাসপাতালের চারদিকে ময়লা-আবর্জনা। তাছাড়া এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালে যে খাবার দেওয়া হয় তা রোগীকে খাওয়ানোর অযোগ্য।  

চিকিৎসক অনুপস্থিতি এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ অস্বীকার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, বিধিমোতাবেক স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স পরিচালনা করছেন তারা। জনবল সংকটের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার তালিকা পাঠিয়েছেন।  

আরও পড়ুন:


ময়মনসিংহে হাওড় এক্সপ্রেসের চাকা লাইনচ্যুত

যে কারণে আফগানিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেনি সেনারা!

নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ’কে নাগরিক সমাজের আহ্বান


NEWS24.TV / কামরুল