ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণি মাদক মামলায় কারামুক্তির পর সোজা উঠেন বনানীর ভাড়া বাসায়। দীর্ঘ ২৭ দিন পর মুক্তি মিলে পরীমণির। এরপর বাসায় ফিরে পড়েন নতুন বিপদে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয় - বাড়ার মালিক নাকি তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন।
যদিও পরীমণি পরে বলেন তিনি কোন বাসা ছাড়ার নোটিশ পাননি।এদিকে পরীমণি গ্রেপ্তারের পর থেকেই আলোচিত লেখক তসলিমা নাসরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীমণিকে নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাসা ছাড়ার খবরের পর পরীমণির সঙ্গে নিজের ঘটনার মিল খুঁজে পেয়েছেন তসলিমা নাসরিন।
পরীমণির বাসা ছাড়া নিয়ে তসলিমা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘পরীমণি জেল থেকে বের হলো, বাড়িতে ঢুকল আর দেখল তাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে বাড়িওয়ালা।
তসলিমা নাসরিন আরও লেখেন, ‘আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে নিতে চাইছে কারা! আমি সম্ভবত যতো না রাজনীতিকদের ষড়যন্ত্রের শিকার, তার চেয়ে বেশি শিকার সাহিত্যের মাফিয়া ডনদের রাজনীতির। যখন আশপাশে কেউ নেই, বিপদ দেখে বন্ধুদের উপস্থিতি একশ থেকে প্রায় শূন্যে চলে এলো, একা একা আমি চিৎকার করছি, আমি রাজ্য ছাড়ব না, শহর ছাড়ব না, বাড়ি ছাড়ব না, কারণ আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমি মানবতার কথা লিখি। মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করা, মানবতার কথা লেখা অন্যায় তো নয়!’
নির্বাসিত লেখিকা বলেন, ‘ভালোবেসে এক বাঙালি লেখক বাংলায় বাস করছে, তাকে বাংলা থেকে বের করে দেওয়া, তাকে নিষিদ্ধ করা মানে তার লেখক সত্তাকে ধ্বংস করে দেওয়া। তাই আমি অস্বীকার করেছিলাম রাজ্য ছাড়তে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যখন ফোন করে বললেন আমাকে রাজ্য ছাড়তেই হবে, বুঝলাম যাদের উচিত ছিল পাশে দাঁড়াবার, তারাই পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। কলকাতা তো দেখিয়ে দিয়েছে লেখকেরা কী করে আরেক লেখকের বই নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়, লেখকেরা কী করে আরেক লেখকের সর্বনাশ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ’
আরও পড়ুন
ভেনেজুয়েলাকে উড়িয়ে দারুণ সূচনা মেসির আর্জেন্টিনার
ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু বেড়ে ৪৬
কাভানির উৎসর্গে ৭ নম্বর জার্সিই পেল রোনালদো
আমেরিকা নেয়া হবে শুনলে ভারতীয়রাও বিমানবন্দরে ভিড় করবে: সোহেল
‘চারদিক থেকে যখন অন্ধকার নেমে আসছে, তখন আমার বাড়িওয়ালা আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছিলেন! সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীই বাড়িওয়ালাকে বলেছিলেন ওই নোটিশটি দিতে। ষড়যন্ত্র কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা সেদিন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম। ’
নিজের ঘটনার সঙ্গে পরীমণির ঘটনার মিল খুঁজে পান এই লেখিকা। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ছাড়ার নোটিশটি হাতে নিয়ে পরীমনি বলছে, আমি এখন কোথায় যাবো, কে আমাকে এই সময় বাড়ি ভাড়া দেবে, আমাকে কি তাহলে ঢাকা ছাড়তে হবে, দেশ ছাড়তে হবে! এরকম আমিও বলেছিলাম সেদিন! পরীমণির অসহায়তা আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি। ’
‘তবে পরীমণির শত্রু যেমন কম নয়, অনুরাগী শুভানুধ্যায়ীও তেমন কম নয়, তারা এই দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়াবে, আমার বিশ্বাস। অসহায় আমার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। প্রথমে রাজ্য, তারপর দেশ ছাড়তে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল। ’
news24bd.tv এসএম