ডোবা-পুকুরের কচুরিপানার আর কী দাম! টাটকা কচুরিপানা গো-খাদ্য আর শুকালে হয় জ্বালানি। এই শুকনা কচুরিপানা থেকেই ঘর সাজানো আর দৈনন্দিন ব্যবহারের দারুণ সব জিনিসপত্র তৈরি করছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার একদল নারী।
তাঁদের তৈরি জিনিস রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাতে। আর নিভৃত পল্লীতে এই শিল্প গড়ে তোলার পেছনে রয়েছেন মদনেরপাড়া গ্রামের সুভাষ বর্মন।
গাইবান্ধা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া গ্রাম। এই গ্রামেই চলছে কচুরিপানা নিয়ে এক কর্মযজ্ঞ।
কচুরিপানা কেন্দ্রিক চারটি হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সুভাষ বর্মন। প্রথম ২০ জন নারী তাঁর অধীনে কাজ করতেন।
স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে নারীরা কচুরিপানা থেকে ফুলের টব, হাতব্যাগ, পাপস, ঝুড়িসহ নানা জিনিসপত্র তৈরি করছেন। সংসারের কাজ ও লেখা পড়ার পাশপাশি এ কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন গৃহিনী ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
দুর্ভোগের শেষ নেই বাসাবো কদমতলার বাসিন্দাদের
ফ্লাইওভার থেকে বাইক নিয়ে ৪০ ফুট নীচে পড়ে যুবকের মৃত্যু
কারবালায় বোমা বিস্ফোরণে দুই পুলিশসহ আহত তিনজন
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভিয়েতনাম ও চিনে এই কচুরিপানা কেন্দ্রিক পণ্য তৈরির কাজ হলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এখানকার পণ্য করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসে।
এই শিল্পের আরও প্রসার হবে আর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে অনেকের এমন আশা এই অঞ্চলের মানুষের।
news24bd.tv নাজিম