১৯৭১ সালের পর এত রক্ত ঝরেনি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

১৯৭১ সালের পর এত রক্ত ঝরেনি: ফখরুল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, সত্য কথা যে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না।

তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ গ্রেপ্তার সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি।

‌‘বন্দুকযুদ্ধের কঠিন সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। কীভাবে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে! এতো রক্ত ১৯৭১ সালের পর আর ঝরেনি, এটা কল্পনা করা যায় না।

একটি সভ্য দেশে এভাবে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা হবে তা কল্পনা করা যায় না। কে মাদক দ্রব্য সেবন করে, কে ব্যবসা করে সেটা কথা নয়। যাদের হত্যা করা  হচ্ছে তারা বিচার পাচ্ছে না কেন?’

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কমিশনারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কক্সবাজারের একজন কমিশনারকে হত্যা করা হয়েছে। তিন বার তিনি কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন। হাজারো মানুষ সেখানে জানাজায় অংশ নিয়েছে। সবাই বলছে নিরপরাধ একজনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেবে।

মাদক বিরোধী অভিযানের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এর দ্বারা বোঝা যায় এটা শুধু মাদকবিরোধী অভিযান নয়। এতে কোনো ষড়যন্ত্র আছে। একটার পর একটি ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।

সরকার নিরুপায় হয়ে ভারতের সাহায্য চেয়েছে দবি করে তিনি বলেন, আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই খবর যদি সত্য হয় তাহলে কি এই দেশ স্বাধীন আছে? তাহলে কি দেশকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চায় সরকার?

এই ভয়াবহ দানব যে আমাদের বুকের ওপর এসে পড়েছে, তাকে সরাতে হবে। আমরা যদি আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরাতে না পারি তাহলে জাতি আমাদেরকে ক্ষমা করবে না’ বলেন ফখরুল।

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন অবশ্য দিতে হবে। সেটা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জনগণের ভোটের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম-ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর