ইসলামিক দার্শনিক আজিজিয়া আল হিব্রিকে নিয়ে লেখবো বলেছিলাম। উনার দার্শনিক কাজের মূল ফোকাস হচ্ছে ইসলামী আইন ও জেন্ডার ইকুয়ালিটি।
তিনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে মূলত একটা প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন আর তা হচ্ছে, কীভাবে ইসলামী আইন একবিংশ শতাব্দীতেও প্রাসঙ্গিক। তিনি সারা জীবন গবেষণা করে এটাই দেখিয়েছেন কীভাবে ইসলামী আইনের উদ্ভব এবং বিকাশ জেন্ডার ইকুয়ালিটি এবং সার্বজনীন মানবাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
১৯৯৭ সালে লেখা ইসলাম ল এন্ড কাস্টমঃ রিডিফাইনিং মুসলিম উয়োম্যান্স রাইটস প্রবন্ধে তিনি দেখিয়েছেন, ইসলামী আইনের পিতৃতান্ত্রিক ব্যখ্যাই নারীকে অধঃস্তন করে রাখে; যেমন বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, ব্যভিচার, প্রহার ইত্যাদি। ইসলামের মৌলিক এবং আদি ব্যাখ্যার সাথে ইসলামী আইনের পিতৃতান্ত্রিক ব্যাখ্যা সাংঘর্ষিক। বরং ইসলামের আইনি ট্রাডিশন এমনই ফ্লেক্সিবল যে তা আধুনিক নারীদের আধুনিক জীবন যাপন এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে খাপে খাপে মিলে যেতে পারে।
ইসলামে কুরআনের বাণীই আল্লাহর বাণী।
কিছু কিছু দেশে সাংস্কৃতিক রীতি কোরআন এবং হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক। সেই সব দেশে কোরআন এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সংঘাতই নারীর স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে।
হিব্রি মনে করেন, ধর্মীয় শিক্ষার অপর্যাপ্ততাই সাংস্কৃতিক রীতি এবং কোরআনের শিক্ষার মধ্যে কৃত্রিম দ্বন্দ্ব তৈরি করে। স্থানীয়ভাবে ইসলামকে কীভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে তার উপরেই নির্ভর করে তা পিতৃতান্ত্রিক হয়ে উঠছে কি না। স্থানীয় পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি যা কোরআনের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক তা না থাকলে আজ ইসলামী সমাজ পৃথিবী ব্যাপী কেমন থাকতো সেটা হিব্রি চমৎকারভাবে দেখিয়েছেন।
পশ্চিমা নারীবাদ নিয়ে হিব্রির ক্রিটিক আছে। কীভাবে আমেরিকান মুসলমানেরা গ্রেইটার আমেরিকান ন্যারেটিভে ফিট করে তা নিয়েও হিব্রির কাজ আছে। সেটা না হয় আরেকদিন কথা বলা যাবে।
আরও পড়ুন
বঙ্গোপসাগরে ফের ডাকাতি শুরু, অপহৃত ৪ জেলে
news24bd.tv এসএম