মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন ও  ১৪ বছরের কারাদণ্ড

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মফিজুল ইসলাম

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন ও  ১৪ বছরের কারাদণ্ড

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর

শেরপুরে নবম শ্রেণিপড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে মফিজুল ইসলাম নামে এক ধর্ষক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

১৫ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ধর্ষকের অনুপস্থিতিতে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মফিজুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন বৈঠামারি গ্রামের চানু মন্ডলের ছেলে। তবে উভয় সাজা একই সাথে চলবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারি দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে তিলকান্দি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে মফিজুল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মফিজুল জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।  

ঘটনার ২৭ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে জামিন নিয়ে অভিযুক্ত মফিজুল পালিয়ে যায়। বিচারিক পর্যায়ে ৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করে আদালত।

আরও পড়ুন


শেরপুরে পৃথক হত্যা মামলায় ২ ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

news24bd.tv এসএম