আবারও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইইউ

ফাইল ছবি

আবারও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইইউ

আসমা তুলি

ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর জোটবদ্ধ হয়ে একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারওপর বুচার নৃশংশতার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এতে শুধু রুশ অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, দেশটির সঙ্গে জড়িত ইউরোপের অর্থনীতিও চরম সংকটে ভুগবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ইউরোপের অন্যতম বাণিজ্যিক সহযোগী রাশিয়া। ইউরোপের প্রায় এক হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছে। দেশটির সঙ্গে যুক্ত ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এর একটি চিত্র তুলে ধরেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

রাশিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, গাড়ি, আকাশযান ও বিলাসবহুল পণ্য তৈরিতে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে।

এছাড়াও দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশাল সম্পর্ক রয়েছে ইউরোপের। এর মধ্যে জ্বালানিই বেশি। নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনে হামলার জেরে ইউরোপে ইতিমধ্যে গ্যাসসহ বিভিন্ন জ্বালানির দাম অনেক বেড়েছে।

ফলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা ইউরোপের ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অনিবার্যভাবে পড়তে যাচ্ছে। ইউক্রেনে যে ব্যবসা তাদের ছিল, যুদ্ধের কারণে সেখানেও সরবরাহ ব্যবস্থা ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দক্ষিণ এশিয়াও।  

এদিকে, ইউক্রেন সংকটের প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরার আশংকা করছে চীনও।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং পণ্যের দামের উঠানামা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাঁধা দিবে এবং বিভিন্ন দেশের উন্নয়নকেও বাঁধাগ্রস্ত করবে।

ওয়াং ই বলেন, বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ঠান্ডা লড়াইয়ের মানসিকতা পুনরুত্থানের কোন সুযোগ নেই।

news24bd.tv/রিমু