আজ থেকে শুরু এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

ট্রফি সামনে রেখে ৬ অধিনায়কের পোজ

আজ থেকে শুরু এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

ক্রীড়া ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৪তম আসর। এশিয়ার সেরা কে, তা প্রমাণের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম এটি। নিজেদের উজাড় করে দিতে এবারের আসরে মাঠে নামছে ৬টি দল।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের সাথে রয়েছে গেল আসরের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও এক দশক পর তৃতীয়বারের মত এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পাওয়া হংকং।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায়।

এশিয়ার দলগুলোর কাছে বিশ্বকাপের মতই গুরুত্বপূর্ণ এশিয়া কাপ। সে দিক বিবেচনায় এখন পর্যন্ত এক ডজন বার অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ‘হাফ ডজন’ বার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ভারত।

গেল আসরটি ছিলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এশিয়ার কাপের ইতিহাসে সেবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে ভারত। তাই চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে মেখে ১৪তম আসরে খেলতে নামবে ‘টিম ইন্ডিয়া’।

news24bd.tv

এশিয়ার কাপে অন্যতম শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশও। গেল তিন আসরের পারফরমেন্সে এশিয়া কাপের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছে মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা। ২০১০ সাল পর্যন্ত এশিয়া কাপের কোন আসরেই ফাইনালে উঠতে পারেনি টাইগাররা। তবে ২০১২ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত আসরের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। সেবার শিরোপা জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে এশিয়া শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়তে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপের পরের আসরটিও হয় বাংলাদেশে। সে আসরে ফাইনালে উঠতে পারেনি টাইগাররা। তবে ২০১৬ সালের আসরে আবারও বিশ্বকে চমকে দিয়ে ফাইনালে ওঠে মাশরাফিবাহিনী। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম লেখায় বাংলাদেশ। কিন্তু শক্তিশালী ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে আবারও শিরোপা হাতছাড়া করার দুঃখে ডুব দিতে হয় মাশরাফির দলকে।

তবে আগের ইতিহাসকে ভুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে নতুন সূচনা করতে উদগ্রীব টাইগাররা।

এশিয়া কাপে ৪২ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩৫ হারের বিপরীতে মাত্র ৭বার জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এগুলো এখন শুধুমাত্র রেকর্ড বইয়েই লিপিবদ্ধ। অতীতের চেয়ে এখন ঢের পরিপক্ক বাংলাদেশ। কিন্তু মরুর দেশে দিনের বেলা কড়া রোদ আর রাতের শিশির ভাবাচ্ছে স্টিভ রোডসের শিষ্যদের।

চেনা কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আসরের হট ফেভারিট পাকিস্তান। উঠতি শক্তি আফগানিস্তাকেও গণনার বাইরে রাখলে ভুল করা হবে। নবী-রশিদ-শাহজাদের মতো ‘ম্যাচ উইনার’ আছে তাদের শিবিরে। তাছাড়া ভারতের নোইডা ও দেরাদুন স্টেডিয়ামের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতই ছিল তাদের ‘হোম ভেন্যু’। তাই মরুর কন্ডিশনটা আফগানদেরও খুব ভালো করেই জানা।

নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেয়ায় এবার কিছুটা হলেও পিছিয়ে থাকবে সদ্য ইংল্যান্ড সফর শেষ করে আসা ভারত। শ্রীলঙ্কা ভুগছে ইনজুরি সমস্যায়। সবশেষ চোটের কারণে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা।

বাছাই পর্বে সবাইকে চমকে দিয়ে এশিয়ার কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়া আরেক দল হংকং। যদিও বড় দলের সাথে লড়াই করা সামর্থ্য নেই তাদের। তাই পূর্ব এশিয়ার প্রতিনিধিরা যদি কোনো ম্যাচ জিতে যায়, তবে সেটি অঘটন হিসেবেই বিবেচিত হবে। দশ বছর পর ফের এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ এবং ওয়ানডে স্ট্যাটাস ফিরে পাওয়াটাই হংকংয়ের ‘কনফিডেন্স বুস্টার’ হিসেবে কাজ করবে।


অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর