হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেল টাইগাররা

সংগৃহীত ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেল টাইগাররা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয় পেল টাইগাররা। সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে 'নো' বলের নাটকীয়তা শেষে জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আউট ধরে নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। কিন্তু রিপ্লাইতে দেখা যায়, বল স্ট্যাম্পে আসার আগেই বল ধরে ফেললেন নুরুল হাসান সোহান।

ফলে থার্ড আম্পায়ার রিভিউ করে দিলেন নটআউট এবং ঘোষণা করলেন নো বল। ১ রান যোগ করে দুই দলকে আবারো মাঠে নামিয়ে আনা হয় এবং ফ্রি-হিট দিয়ে শেষ বলটি করতে বলা হয়।  

শেষ বলে মুজারাবানি কোনো রান করতে পারেননি। রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১৫০ রানের জবাব দিতে নেমে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

শেষ বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটার ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলেও উইকেট পেলেন মোসাদ্দেক। এবারও স্ট্যাম্পিং।   

এর আগে ব্রিজবেনে সকলে দেখেছে তাসকিন-মুস্তাফিজ শো। তাসকিন ও মুস্তাফিজের বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে পরে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল পেয়ে তুলে মেরেছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তা ক্যাচ ধরেন মুস্তাফিজ। নিজের পরের ওভারে আবারো উইকেট তুলে নেন তাসকিন। লেন্থের বল উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ তুলে দেন অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। তিনি ফিরে যান ৮ রান করে।  

এরপর মুস্তাফিজ শো। নিজের প্রথম ওভারেই প্রথম তুলে নেন শুমবাকে। এরপর রাজাকে আউট করে জিম্বাবুয়েকে বড় চাপে ফেলে দেন এই কাটার মাস্টার। চাকাভাকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তাসকিন। চাকাভা করেন ১৫ রান।

কিন্তু এরপর দলের হাল ধরেন উইলিয়ামস-বার্ল। তাদের গড়া ৬৩ রানের জুটি জিম্বাবুয়েকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সাকিবের ওভারে রান আউট হন উইলিয়ামস। এরপরই ম্যাচটা চলে যায় বাংলাদেশের হাতে। শেষ পর্যন্ত নানান নাটকীয়তার পর জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারায় বাংলাদেশ।  

এরআগে নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ইনিংসে ভর করে জিম্বাবুয়ের সামনে ১৫১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৩২ রান তুলতেই সৌম্য ও লিটনকে হারিয়ে বসেছে টাইগাররা।

শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২০ বলে এক চারে সাকিব করেন ২৩ রান করে আউট হন সাকিবও।

নাজমুল হোসেন শান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন। আউট হওয়ার আগে এ ওপেনার খেলেছেন ৭ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস। যা তার ক্যারিয়ারসেরা।  

শান্ত'র ৭১ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ১৫০ রান। শেষ তিন ওভারে আশানুরূপ ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ তিন ওভার থেকে এসেছে মাত্র ২৪ রান।  

প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ৬৩, শেষ ১০ ওভারে এলো ৮৭। কোনোমতে হলো দেড়শ রান।

শুরু থেকে একপ্রান্ত ধরে রেখে দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন ওপেনার শান্ত। ফিফটির পর ১৬তম ওভারে ১৭ রান নেন শান্ত। তবে পরের ওভারেই তাকে থামিয়ে দিলেন সিকান্দার রাজা।

শেষ ওভারে গাভারার দ্বিতীয় ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১০ বলে ৭ রান এসেছে তার কাছ থেকে। পরের বলেই রানআউট হয়ে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন তিনি।

শেষ ২ বলের জন্য ব্যাট হাতে নামেন মিরাজের বদলে একাদশে সুযোগ পাওয়া ইয়াসির আলি রাব্বি। তিনি এক রান নিয়ে আফিফকে স্ট্রাইক দেন। শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন আফিফ।

news24bd.tv/কামরুল