পাড়া-মহল্লা থেকে কেনা চামড়া আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়েছে মৌসুমি বিক্রেতাদের।
ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে আড়তে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমতে থাকায় মৌসুমি বিক্রেতারা অনেক টাকা লোকসান গুনেছেন বলে দাবি করেছেন।
রাজধানীর চামড়ার এক মৌসুমি বিক্রেতা বলেন, ঈদের দিন দেড়শ চামড়া কিনেই বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছি। তাই বৃহস্পতিবার গরু কোরবানি হলেও চামড়া কিনিনি।
যে দামে চামড়া কিনেছি তার অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হয়েছে।অর্থাৎ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে চামড়া কিনেবিক্রি করেতে হয়েছে ৪০০ টাকায়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদের দিন যা চামড়া কিনেছি তার ক্রেতা না পেয়ে অবশেষে লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছে।
লালবাগ এলাকার এক চামড়া ব্যবসায়ী জানান, মৌসুমি বিক্রেতারা পাড়া-মহল্লা থেকে বেশি দামে চামড়া কেনাতেই বিপত্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর চামড়ার সর্বোচ্চ মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি বর্গফুট চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। কারণ এর সঙ্গে লবণ দেওয়ার খরচ যোগ হবে। আবার এই চামড়া নিয়ে যেতে হবে সাভারের হেমায়েতপুরে। আগে হাজারীবাগে পৌঁছে দিলেই চলত।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আফতাব উদ্দিন বলেন, এবছর আন্তর্জাতিকভাবে চামড়ার দাম কম। দেশের বাজারেও সরকার দাম কিছুটা কমিয়েছে। কিন্তু অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী বিষয়টি বোঝেনি। তারা আড়তদারদের জন্য নির্ধারিত করা দামে চামড়া কিনেছে। ফলে তারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)