জেলে যাওয়া সেই কৃষকদের ব্যাংকঋণ পরিশোধ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ

পাবনার সেই আলোচিত কৃষকদের খেলাপি ঋণ সুদসহ পরিশোধ করে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

জেলে যাওয়া সেই কৃষকদের ব্যাংকঋণ পরিশোধ করলো বসুন্ধরা গ্রুপ

অনলাইন ডেস্ক

ব্যাংক ঋণের দায়ে জেলে যাওয়া পাবনার আলোচিত সেই ১২ কৃষকের পাশে দাঁড়ালো বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের জামিনে মুক্ত করার পর তাদেরসহ আরও ৩৭ কৃষকের খেলাপি ঋণ সুদসহ পরিশোধ করেছে দেশের শীর্ষ এ শিল্পগোষ্ঠী।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দৈনিক কালের কণ্ঠ মিলনায়তনে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ঝর্ণা প্রভা দেবীর হাতে চেকের মাধ্যমে খেলাপি ঋণের অর্থ তুলে দেন।

এ সময় ইমদাদুল হক মিলন বলেন, 'আমার ভীষণ ভালো লাগছে, কারণ আমরা আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।

বসুন্ধরা গ্রুপ গরীব কৃষকদের ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করেছে। কালের কণ্ঠের শুভ সংঘ এর জন্য কাজ করেছে'।

তিনি বলেন, 'আমি তখন প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছি। পত্রিকা খুলেই দেখি পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজিচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি সমিতির ১২ কৃষককে ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে জেলে যেতে হয়েছে'।

তিনি আরও বলেন, 'তখনই আমি বিষয়টি আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়কে (বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর) জানাই। কৃষকদের ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চাই, তিনি যেন এটা ব্যবস্থা করেন সেই দাবি করি। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় সঙ্গে সঙ্গে জানালেন এটা যেন দ্রুত সময়ে মধ্যে শেষ করি। এ বিষয়ে অমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কালের কণ্ঠের শুভ সংঘ'।

সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ঝর্ণা প্রভা দেবী বলেন, 'ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজিচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ৩৭ সদস্যের কাছে ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত পাওনা ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৩ টাকা এবং মামলা খরচসহ ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৭১৩ টাকা বুঝে পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকদের মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবো'।

ঝর্ণা প্রভা দেবী আরও বলেন, '২০১৬ সালে কৃষকরা যে ঋণ নিয়েছিলো সেটা এক বছরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তারা সেটা দীর্ঘদিন করেনি। পরে ব্যাংকের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয় মামলা করার। ২০২১ সালে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়। যখন ওয়ারেন্ট হলো আমরা সেটা জানি না। এর জন্য আমরা দুঃখিত। আর বিশেষ ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে'।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর সমবায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তার ১২ কৃষকসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সমবায় ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালে ৪০ জন কৃষক ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেনি।