১৯৯০র' দশক থেকে বৌদ্ধ গুরুরা তাদের শিষ্যদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত সে কথা জানতেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক গুরু দালাই লামা। হল্যান্ডের সরকারি টিভি এনওএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দালাই লামা এ কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, এসব কথা আমি জানি, নতুন কিছু নয়। বর্তমানে হল্যন্ডে চারদিনের সফরে রয়েছেন দালাই লামা।
৮৩ বছর বয়সি এই আধ্যাত্মিক গুরু ভারতের হিমাচল প্রদেশে বসবাস করেন।
নিরুপায় হয়ে দালাই লামা দাবি করেন, যারা যৌন নির্যাতন করে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষার প্রতি তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এখন যখন সবাই সবকিছু জেনে ফেলেছে তখন আমি জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাব।
শুক্রবার দালাই লামা বর্তমানে হল্যান্ডে বসবাসরত এবং অতীতে বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
১৯৫৯ সালে তিব্বতে চীন বিরোধী ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দালাই লামা। তিনি ২০১১ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেন।
চীন অভিযোগ করে, তিনি তিব্বতকে চীন থেকে আলাদা করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু দালাই লামা দাবি করেন, তিনি তিব্বতকে চীন থেকে আলাদা করতে চাননি। তিব্বতের অধিকতর স্বায়ত্বশাসন চেয়েছিলেন। তিব্বতকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন।
বেইজিং বলছে, আমেরিকার সহযোগিতা নিয়ে তিব্বতকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন দালাই লামা। ১৯৫০’র দশক থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কাছ থেকে দালাই লামা প্রতি বছর এক লাখ ৮০ হাজার ডলার অনুদান গ্রহণ করতেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
