যারা ৭-৮ ঘণ্টা এক স্থানে বসে কাজ করেন...

সংগৃহীত ছবি

যারা ৭-৮ ঘণ্টা এক স্থানে বসে কাজ করেন...

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে, কোনও রকম শরীরচর্চা না করলে তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আর কোলেস্টেরল বাড়লেই উচ্চরক্তচাপ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।

অনেকটা নীরব ঘাতকের মতোই রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা। এই মাত্রা যদি 200 mg/dL-এর বেশি হয়, তখন সাবধান হওয়া জরুরি।

এই বাড়তি কোলেস্টেরলের মাত্রা থেকে কড়া নাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। লিপিড প্রোফাইলে তিনটি উপাদান পরীক্ষা করা হয়। উচ্চ ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (HDL), কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইড। সমস্যা তখনই তৈরি হয় যখন এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়।
এই কারণে একটা বয়সের পর থেকে চিকিৎসকগন নিয়মিত লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু অনেক সময় আমাদেরই দোষে দেখা দেয় কোলেস্টেরলের সমস্যা।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে এরপর মানুষ নড়েচড়ে বসে। চিকিৎসকের সঙ্গে কাছে যান, গ্রহণ করেন ওষুধ। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ওষুধ খেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না যে, লাইফস্টাইলের কারণেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। সুতরাং, কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে লাইফস্টাইলের উপর নজর দেওয়া জরুরি।

দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং, মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধরা পড়লে সুস্থ থাকার জন্য ওয়ার্কআউট করতে হবে। শুধু ওষুধের উপর ভরসা করে থাকলে বিপদ বাড়বেই। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে কোমরের চারপাশে মেদ জমে। অর্থাৎ স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে। কোলেস্টেরলের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি। এই উচ্চ কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ দুটোই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তাই সুস্থ থাকতে গেলে শরীরচর্চা জরুরি।

সুস্থ থাকতে নিজের মধ্যে যেমন শরীরচর্চার সুঅভ্যাস গড়ে তুলবেন, তেমনই কিছু বদঅভ্যাস থেকে পিছু ছাড়াতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপান এই দুটো জিনিসই আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ধূমপানের কারণে ওজনও বাড়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে, ধূমপান করলে শরীরের মধ্যে ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে না। বরং এইচডিএল-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। যা মোটেই ভাল নয়।  যার জেরে ধমনীর দেওয়ালে চর্বি জমতে থাকে। একইভাবে, মদ্যপানের কারণে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।

কোলেস্টেরল বাড়লেই উচ্চরক্তচাপ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা আসে। তাই সুস্থ থাকতে সচল জীবনযাপন দরকার। যদি রোগের ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে বছরের দুবার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করান। এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়লে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং ওষুধের সাহায্য নিন। পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে ভুলবেন না।

এই রকম আরও টপিক