থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জরুরী চিকিৎসা দিচ্ছে ‘ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল’

সংগৃহীত ছবি

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জরুরী চিকিৎসা দিচ্ছে ‘ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল’

অনলাইন ডেস্ক

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্ত রোগ। বাবা অথবা মা, অথবা বাবা- মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়ার জিন থাকলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যেও ছড়ায়। তবে এই রোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়; বরং জিনগত ত্রুটির কারণে হয়ে থাকে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ লোক থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন বহন করছে এবং প্রায় ৪ শতাংশ লোক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাজধানীর উত্তরায় ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অফ থ্যালাসেমিয়া। দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. সালাহ্উদ্দীন শাহ্ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি জানান, বেসরকারিভাবে এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ২৪ ঘন্টা ইমার্জেন্সি সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি নিজেই রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন।

অধ্যাপক ডা. মো. সালাহ্উদ্দীন শাহ্ বলেন, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের স্বল্প খরচে সঠিক চিকিৎসা প্রদান এবং সারাদেশে এই নীরব ঘাতক রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের রয়েছে নিজস্ব ব্লাড ব্যাংক ও ব্লাড ডোনার ক্লাব। পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রিনিং পরীক্ষার (এইচআইভি, এইচসিভি, এইচবিএস এজি, ভিডিআরএল এবং এমপি) পর নিরাপদ রক্ত সংগ্রহ করে ২৪ ঘন্টা নিরাপদ রক্ত ​​সঞ্চালন নিশ্চিত করা হয় এখানে। থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস, রক্ত জমাট এবং রক্তপাতের ব্যাধি পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া ক্যান্সার রোগী, বিশেষ করে ব্লাড ক্যান্সার রোগীদের জন্য কেমোথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া রোগীরা এই হাসপাতাল থেকে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।  

তিনি আরো জানান, মেডিকেল অফিসার এবং হেমাটোলজিস্টদের তত্বাবধানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কনসালটেন্সি, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রুটিন এবং বিশেষ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা, আয়রন চিলেশন থেরাপি, স্প্লেনেক্টমিসহ অন্যান্য অপারেশন সুবিধা, বিবাহপূর্ব কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। নিয়মিত নেয়া হয় থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা কর্মসূচি এবং করা হয় থ্যালাসেমিয়া রেজিস্ট্রি।  

তিনি জানান, ভবিষ্যতে এখানে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে।