বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক। রক্তস্বল্পতার কারণে প্রতি মাসে রক্ত নেওয়া ও পরিপাকনালীর আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় দেহে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে লিভার, হৃদপিণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মারাত্মক কিছু জটিলতা দেখা দেয়।
এবার দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে উন্নত ল্যাবের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় করে কার্যকর চিকিৎসা দেয়া হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের স্টেমসেল ল্যাব ও ক্লিনিক টোটিসেল লিমিটেড, ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব এবং বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের মধ্যে এ সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। ফলে এখন থেকে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরা কম খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে পারবে। অত্যাধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি রক্তপ্রদানের সুবিধাও থাকবে বলে জানা গেছে।বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের সঙ্গে করা চুক্তি প্রসঙ্গে টোটিসেল হেলথ এন্ড রিসার্চ ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাইজুর রহমান বলেন, ‘এই ল্যাব এবং এই সেবা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মনে হয় উনারা আল্লাহর তরফ থেকে আমাদের কাছে এসেছেন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের সভাপতি ড. এম এ মতিন বলেন, ‘এখানে মডার্ন যে ল্যাব আছে সেখানে আমরা সব রকমের টেস্ট করতে পারবো। থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার সব টেস্ট এবং বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের আগে টাইপিং ও ম্যাচিং টেস্টগুলো করা সম্ভব হবে। এমনকি রোগীর শরীরের কোথায় আয়রন বেশি হয়ে যাচ্ছে তা বের করা সম্ভব হবে। এছাড়া মলিকুলার টেস্টগুলো সবই করা যাবে। ’
চিকিৎসকগন মনে করছেন, সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করা গেলে দেশ থ্যালাসেমিয়া মুক্ত হবে।
news24bd/ARH