সম্প্রতি মাদারীপুর শহরের দোকানপাট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে শহরের জার্মান প্লাজায় একই রাতে তিন দোকানে চুরি হয়েছে। চোর নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, যাওয়ার সময় চোরচক্র দোকানের সিসি ক্যামেরা নিয়ে গেছে। ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মালপত্র। আটক হয়নি চোর চক্র। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার ব্যবসা বানিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র শহরের পুরান বাজার। পুরান বাজারে একাধিক ব্যাংক, বীমা ও হাজারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বাজারে গত তিন মাসে কমপক্ষে ৫০টি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি শহরের পুরান বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে চোরচক্র। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা টের পেলে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও শহরের সিটি সুপার মার্কেট, মিয়া বঙ্গ মার্কেট, সাধনা ঔষাধালয়সহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, পুলিশের টহল জোরদার না থাকার কারণেই বেড়েছে চুরি। এছাড়াও চুরির ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ মামলা নিতেও গড়িমসি করে। এতে করে ক্ষোভ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো। তবু এখানে পুলিশের কোনো টহল থাকে না। এতে করে চুরির ঘটনা বেড়েছে, জান-মালের নিরাপত্তা না থাকায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দোকানের তালা ভেঙে টাকা-পয়সা ও মালামাল নিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ একবারের জন্যও খবর নেয়নি। মালামালও উদ্ধার হয়নি।
সিরাজ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমার মোবাইল চুরি হয়েছে অথচ থানায় চুরির মামলা নেয়নি। হারিয়েছে মর্মে জিডি করেছি। মোবাইল উদ্ধার হয়নি।
পুরানবাজারের শফিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েক দিন আগে সোনালী ব্যাংকে চুরির চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা টের পেলে চোর পালিয়ে যায়। পাশের কয়েক দোকানে চুরি হয়েছে তাই আমরা আতঙ্কে আছি। তিনি পুলিশের টহল জোরদার করার দাই জানান।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, মানুষ সচেতন হওয়ার কারণে থানায় আসতে চায়। এ কারণে আগে যেগুলো রিপোর্ট হতো না সেগুলোও রিপোর্ট হয়। আগের তুলনায় রিপোর্টিংটা বেড়েছে। চুরির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে। মামলা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
