পেটিএমের ১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই, কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার দাপট

হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করছে পেটিএম।ছবি: সংগৃহীত

পেটিএমের ১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই, কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার দাপট

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় অর্থ লেনদেনকারী প্ল্যাটফর্ম পেটিএমের এক হাজারেরও বেশি কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে পেটিএমের মূল কোম্পানি ‘ওয়ান নাইন্টিসেভেন কমিউনিকেশন’ তাদের কর্মী ছাটাই শুরু করেছে।  

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কোম্পানিটিতে আরও কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে। তহবিলের অভাব এবং ব্যবসা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ফলে এসব কর্মী ছাটাই করা হয়েছে।

 

২০২৩ সালের ছাঁটাইয়ের ধারা অব্যাহত থাকায় এসব কর্মীকে ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির ১০ শতাংশের বেশি কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানা গেছে। গত ৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রায় ২০ শতাংশ পতন হয়।

ইকোনমিক টাইমসের বরাতে বলা হয়, এটি ভারতের নতুন যুগের প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের ঘটনা।

তহবিলের অভাব এবং অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের ফলে চলতি বছর স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো হাজারো কর্মী ছাঁটাই করে। শুধু পেটিএম নয়, নতুন প্রযুক্তির স্টার্টআপগুলো এ বছর সারা দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরি ছাঁটাই করেছে।  

মূলত অক্টোবর মাসে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছিল পেটিএম। এর কারণ হিসেবে উঠে আসে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার। অর্থাৎ কর্মীরা যে কাজ করবেন, তা এআইয়ের সাহায্যেই করে ফেলতে চাইছে সংস্থাটি। এতে সংস্থার খরচ কমার পাশাপাশি কাজের মানও বাড়বে বলে দাবি করা হচ্ছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে মুখপাত্র জানান, এই মুহূর্তে কর্মী ছাঁটাই করা হলেও পরবর্তীতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়লে তা সাধারণ মানুষের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেই অনুমান করেছিলেন অনেকেই। কারণ, একজন কর্মী যা কাজ করেন, এআইয়ের পক্ষে সহজেই তা সম্ভব। সেই কারণে অনেক সংস্থাই এই প্রযুক্তির উপর ভরসা করছেন। যাতে কমছে খরচ। ফলে কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ।

news24bd.tv/DHL