হামাসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার

জেরুজালেমে জাতীয় গ্রন্থাগারে ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের ছবির প্রদর্শনীছবি: এএফপি

হামাসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার

অনলাইন ডেস্ক

গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি)  ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের কাছে ইসরায়েলিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হামাস বাহিনীর সদস্যদের হাতে ইসরায়েলি নারী ও শিশু নির্যাতিত হয়েছেন। হামাস ইসরায়েলি নারীদের ‘যৌনাঙ্গ ইচ্ছাকৃতভাবে কর্তন’ করেছে। এনিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে  শুনানির আয়োজন করা হয়। সূত্র: বিবিসি।

উল্টোদিকে ইসরায়েলি নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , এসব বানোয়াট তথ্য ইসরায়েলিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশন করছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। পাশাপাশি সংগঠনটির কয়েক শ সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালান।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই দিনের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিনই নারী ও শিশুদের নির্যাতন চালানো হয় বলে দাবি ইসরায়েলের ।  

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বৈঠকে ইসরায়েলিরা যখন সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন, তখন অনেক সংসদ সদস্য ও হাউস অব লর্ডস সদস্যের চোখ ভিজে যায়। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর শুরা সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া কয়েক নারীর মরদেহ শনাক্তের জন্য স্থপতি শারি মেন্দেসকে ডেকেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাঁকে ডাকা হয়েছিল রিজার্ভ সেনা হিসেবে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ওই নারীদের অনেকের পরনে রক্তাক্ত ও কাটাছেঁড়া অন্তর্বাস ছিল। অনেকের পরনে কোনো কাপড় ছিল না।

শারি মেন্দেস বলেন, ‘আমাদের দলের কমান্ডার এমন অনেক নারীকে দেখেছেন, যাঁদের যৌনাঙ্গ, ঊরুসন্ধি কিংবা স্তনে গুলি করা হয়েছিল। এটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগতভাবে যৌনাঙ্গ কাটা হয়েছে। ’

news24bd.tv/ডিডি